সম্পাদকীয়
আমরা পিছন দিকে তাকিয়ে খুঁজে চলেছি কেবল
স্মৃতি। অপেক্ষা করছি কোনো এক পরিচিত সূর্য
উদয়ের ভোর এবং প্রভাতী সংগীতের। আমাদের
হাতে কলম ধরিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে সামনে দ্যাখো।
এই সংখ্যার সম্পাদকীয় তোমাকে এখনই লিখতে
হবে।
কলমে ঝরে পড়ছে হেমন্তের শিশির। হয়তো নীরব
অশ্রুমোচন। নীরবতার ভিতর থেকে ছুঁতে চাইছি
কোনো অপ্রাকৃত ভোর। মনে পড়ে যাচ্ছে যেন
সম্প্রতি হারিয়েছি নাসের হোসেন ও গৌরাঙ্গ
মিত্রকে। কত কত মানুষের অর্জনের উৎস দুই
দাদাকে এই অগ্রহায়ণ মাসেই বিনম্র শ্রদ্ধায় বিদায়
জানাতে হয়েছে, গতবছর। ওঁদের অনুপস্থিতি খুব
বড়ো হয়ে উঠছে। যদিও প্রতিমুহূর্তে ওঁদের
উপস্থিতি টের পাচ্ছি, এও সত্য।
হেমন্তদিনের মধ্যে এই সত্যকে পেতে চাইছি। পেতে
চাইছি খিদে নিরসনের নবান্নে । মনে মনে
আমরা প্রত্যেকেই কি অপেক্ষা করি না ধানের উষ্ণ
গন্ধের? জীবনকে খুঁজি না ভাত ফুটে ওঠার
প্রাত্যহিকতায়? মৃত্যু বিচ্ছেদ পিছনে সরিয়ে এই
সত্যকেই অবসাদ ভেঙে আলিঙ্গন করে নিই।
মহাশূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে শুনে
নিই আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের হেমন্ত রাগ। প্রকৃতির
অপরূপ সৌন্দর্য আত্মস্থ করে যা ধ্বনিত হচ্ছে।
নাসের হোসেন গৌরাঙ্গ মিত্র, আপনাদের উৎসর্গ
করলাম এই লেখা এবং হেমন্ত রাগ।
হেমন্ত রাগে লেখা এই সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনহৃদয় ছুঁয়ে গেলো, 💐
খুব সুন্দর
উত্তরমুছুনবাবা আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের সরোদে বাজা হেমন্ত রাগে শিবরঞ্জনী মিশিয়ে গেয়েছেন -- অনুভব করলাম মনের গভীরে।
উত্তরমুছুন