দুটি কবিতা : নিমাই জানা

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 






নিমাই জানা



শরীর ও জ্যামিতিক ছেদবিন্দু



উলম্ব শারীরিক মধ্যবর্তী জ্যামিতিক বিন্দু থেকে আমি কিছু মৃত্যুর ছায়াপথ উড়িয়ে দিলাম নভশ্চরের দিকে ,অথচ মৃত্যুর শরীর থেকে কোনো দুর্গন্ধ বের হচ্ছে না এখন

আমি ঠিক গোধূলির পরবর্তী সময়ে সব বাদামী বর্ণের ডিভাইন মন্ত্র উপুড় করে দাঁড়াই অস্তে যাওয়া সূর্যের দিকে তাকিয়ে
এই লম্ব বৃত্তাকার সুপারি গাছের তলায় সাপেরা ফেলে যায় সব অঙ্গুরীমালের ইছামতি স্তব , নারীটি বুদ্ধ মূর্তির তলায় সুজাতা সেজে বসে

বন চণ্ডাল সাপটির নিচে সাঁকোটির অপরপ্রান্তের ধূমাবতী নারী , সদগুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নিয়েছেন সৈকত
এমন দাতব্য মন্ত্রকে ছায়া ঘরে এসে দেখে যাও হরি প্রিয়ে রাধে
মাইট্রোকন্ডিয়া উপর সব নিরাময়ের একটি স্থির বিন্দু আছে তাই আগুনের কোন উদরপূর্তির অন্তিম গল্প নেই

শুধু সমরৈখিক দুটি ধ্রুবপদ আনন্দে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরে গেছে , তারপর সব পুরুষের একটি বৈধব্য পোশাক রাখা আছে পিঠের মাঝখানে

শুধু বাবার পিঠের একটি চতুর্ভুজ সংক্রমণ তরতর বেড়ে উঠছে গ্রাসনালীর দিকে




প্লাসেন্টার নারী ও তপোবনের জলছাপ



ঐরাবত ছায়া পড়েছে অনুভুমিক মরুভূমির উপর
প্রলয় বাঘের পিঠে সব অভয়ারণ্য দাগ , ভূর্জপত্র আমি এই ত্রিলোকেশ্বর নামের আগে অস্তর্থক ত্রিশূল চিহ্ন রাখি
বেজে ওঠে রুদ্রাক্ষ মায়া , সব স্বপ্নময় সংসারে এখন কর্দমাক্ত পাহাড়

পিচ্ছিল ভূমিতে নেমে আসছে হলাহল জটাধারীর সংহার ও আলোকময় অকল্পনীয় কৈলাস
অ্যাকুয়াস প্লাসেন্টার অনুর্বর তুষার ক্ষেত্রে বিচরণ করছেন হরগৌরী ও রণচণ্ডীর দেহী
সারাদিন শাঁখ বাজানোর আগে তিনি ক্রমে নিরাময়ের বেদি ছুঁয়ে ফেলেন সমতল ভূমি দিয়ে শল্কমোচন সাপ

এই লিঙ্গান্তর আকাশের দিকে চেয়ে সব বীর্য পুরুষ শুক্রাশয় থেকে গিলে নিচ্ছে রোমশ উজাগর , চাঁদ কঙ্কাল
রাত্রিকালীন গভীরতার জনুক্রমের ইতিহাস লিখছেন মৃত্যুর সংহারকর্তা বিসর্গ সিন্ধু , মৈনাক পর্বত
স্থিতিময় শ্রীবিষ্ণু নীরব আলিঙ্গনবদ্ধ নারীটির পথের ওপর বানপ্রস্থ লিখছেন তপোবনের জলকালি দিয়ে
কুটীরের নৈঋতে তীক্ষ্ণ পিপাসা রেখে ফিরে যাচ্ছেন নীলমাধব কোটি নক্ষত্রময়ের দিকে.......