রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য
ফিরোজ অবুঝ
একটা চুম্বন দেহাতি কলরব আরেক চুম্বন গোধূলি,
একটা হাত ধরা কুমার সম্ভব আরেক হাত ধরা আউলী,
কেন যে ভালোবাসি নেশার মত করে, কেন যে চাই নেশা চুম্বক!
একটু অগোছালো,একটু গোছানো, অতিথি প্রেম আজও নাবালক,
গেরুয়া রঙেতে ছোপানো আড়াবাঁশি আসি আসি বলে দুরে যায়,
জব্দ আঁধারে ফিরে ফিরে আসে স্তব্ধ জোনাকি সন্ধ্যায়,
মন ফেরে মন মানে কে খুঁজতে অবাক ফেরিওয়ালা বাতাসে,
কিছু বিকিকিনি তলানি নীল বিষ অসুখ অসুখ সুখ ফ্যাকাশে,
যে অজুহাতে আগুনে ভেজানো কারণে অকারণ জুড়ে যায়,
ছন্দ সুর খোঁজে তান লয়কারি নিবিড় তানপুরা বিষাদ গায়,
মন্দাক্রান্তা বৃন্দাবনে রাধা প্রেমের লোনা জলে করেছে স্নান,
একটি ছোট পাখি ডানায় বিরহ কোটরে লোকানো পরিত্রাণ,
কুহেলি মালকিন রাত্রি পাহারা ব্যথার চর্যাপদ ঝোড়ো সবুজ,
হারানো বদ্বীপে তাঁহাদের কথা ফুটেছে অশ্রু ফিরোজ অবুঝ
জবানবন্দি
ধর্ষণ লেখা হতো না, প্রেম সহ্য হলে, সহ্য হলে বৃষ্টি আতুর একার ঐশ্বর্য
আলতামিরাগুহা লেবু পাতা রঙ হলে
শীতকালে বেঁচে যেত পশমিনা শাল, সেখানে ঘুমের দেশে সাপের পিছলা
বুকে ঘুম যায় রতি ক্লান্ত পাখি, জোর করে গিলে নিত অভিমানী
অভিধান শব্দের ছেঁড়াখোড়া শব, ভাঙা চশমায়
দেখা দেখা না দেখা ব্যক্তিগত চুল্লীর ক্রোমোজোম, স্তব্ধ স্তন শিখণ্ডী হয়ে
যুদ্ধ করে কর্তৃত্বের সাথে, যৌনতা কতটুকু! সবটুকু জয় চাওয়া রক্তের
কলরব
হারতে হারতে হারতে কোণঠাসা দেহ অধিকার করে সশব্দে ফেটে পড়া গাছ
করতলে জমা হয় আঁশটে যৌবন
আর আর্তনাদ, তবু ফাঁকি থাকে বৈকল্যের সেতুর উপর এক আধফোঁটা মায়ের চোখের জল
আর জন্ম মাটির ফুটিফাটা হাহাকার!
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন