দুটি কবিতা : পার্থজিৎ চন্দ

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 





পার্থজিৎ চন্দ

 

ট্রেন

দূরে একা বাড়ি। একা শস্যখেত

একলা ভিজছে শুধু নত বৃষ্টিগাছ


জন্মান্তর আলো যেন, বুদ্ধদেব

এখানে ফুটেছে তার ছোট্ট ভ্রূণ


চায়ের বাগান চিরে সরু পথ

শিহরন  তোলে নীল রাত্রী-ট্রেন


আদিম স্টেশন থেকে কবে কোন

ছিল যাত্রা শুরু, আজ বিস্মরণ 


তবু রাত্রি হয়, তবু ট্রেন ছোটে

মুগ্ধ তন্দ্রাঘোরে দোলে যাত্রীদল

 

সব শেষে পথ যদি থমকে যায়

গহন বনের মাঝে ট্রেন থামে

 

দিশাহারা এক দু’-পল অপেক্ষার

অন্তে রাত্রি শেষ, ফোটে দিগন্তের

 

জবাকুসুম… পাপঘ্ন… মহা-আভা

পূর্ব পরে আরও পূর্ব, পরে পূর্ব দিক

ট্র্যাক পেতে নিজে সে আদিম ট্রেন

পথ খুঁজে নেয় চির অনন্তের

 

 

ছিন্নমস্তা

 

সরোবরে এক কালোছায়া ঘোরে ফেরে নিজে ডুবতে চায়

চক্র ছিন্ন করা শান্ত জল আছড়ে পড়েছে মৃদু রক্ত পায়ে

জলের রজনী ঘোর আশঙ্কার শুঁড়িপথে দম চাপা-পথে

দুই মহাভোজী চোর রক্ত খোর একমনে চেটে করপুটে

ধরে রাখে পরে খাবে বলে। এখানে কাহিনি যদি শেষ হবে

শেষের দৃশ্য কেন একা একা জল ফুঁড়ে এসে সামনে ধায়

পাগলিনি তার দেহ খুলে খড়্গে কেটে ফেলে রক্তভরানদী

শুদ্ধচক্র সোজা ভেদ করে আজ্ঞাপ্রাপ্ত আলো ছুটে চলে

রুধির প্রবাহ ঘোরে মাথা কুটে বলে, সহস্রার তুমি দ্বার খোল

কোলে তোল তুমি সঙ্গে নাও জেনে গেছি আমি গেছি বুঝে

 

রক্ত মস্তকের নিজে পান বিনা মুক্তি নেই স্নায়ু ইস্পাতের