গুচ্ছ কবিতা : সুজল সাহা

 






সুজল সাহা


পর্যটনবিষয়ক
-----------------

উদাসীন বরফের দেশ আগুনে পোড়ার যন্ত্রণা
শ্মশানে মশানে কাটানো রাতজাগা নীলপাখি
দূরের পাহাড়ে গির্জার আশ্চর্য ঘণ্টাধ্বনি শুনি।

নগ্ন জলবিভাজিকা। আচ্ছন্ন তোমার শূন্য পথ
ঘোরানো সিঁড়ির রহস্য হিমবাহের সূর্যতপস্যা
গর্ভগৃহ থেকে আনা কামাখ্যা মায়ের লাল জবা

বদলে যাওয়া শুষ্কনদীখাত মৃত জলফড়িঙের
পর্যটন থেকে সারি সারি কালো অক্ষরের বৃত্ত
দিব্যরবিরেখা শ্রাবণের জলধারা হাতে স্বপ্নময়
কামরাঙা ফুল ফল স্বর্ণ আতপের গন্ধ চমকায়।


বিষহরিডাঙা
-----------------

তোমার মাথার পেছনে অশোক পলাশের লাল
তমসার কেন্দ্রে শীতলা মায়ের থান অলৌকিক 
বিষহরিডাঙা। দুধ সরোবরে যত ডুব দিই, তীব্র জ্বালা নামে। 
সাপুড়ের হাতে কালকেউটের ফণা

সোনাঝুরির রূপের কাছে আর সব তুচ্ছ ভাবি।
পাতাল কন্যার নাভিপদ্ম মৃগের সুবাস নিয়ে এই
 ভুবনডাঙার দুর্নিবার জলচক্র মায়াময় বনবীথি
রৌদ্রতপ্ত মাথার ওপর দৃঢ় নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ে।


জলের স্বভাব
---------------
ক্ষমাই পরম। রসকলি মন জানে। চটুল মস্করা
অনায়াস চেপে যাও। পাঁচকান হয় না দৃশ্যবদল।

প্রকৃতির ডাকে ক্রমাগত শুদ্ধিকরণের পথ খুঁজি
আর মনে মনে ক্ষমাসুন্দর চোখের তারিফ করি।

সীমা অতিক্রম করা পর্বত কন্যার রাতপোশাক
অধোগামী জলের স্বভাব লিখন ভঙ্গিমা বদলাই