কবি বিষয়ক দুই টুকরো : যশোধরা রায়চৌধুরী

 






যশোধরা রায়চৌধুরী


বি বিষয়ক দুই টুকরো



অনেক অনেক দিন কবিতা লিখতে লিখতে

একদিন চালাক হয়ে যায় কবি

তার হাত তখন ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও লেখে

তার মন তখন ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও লেখে

সে লিখে ফেলে লাইনের পর লাইন

কবিতার মত দেখতে কবিতা

সে তখন জানে

কীভাবে কবিতা-কবিতা দেখতে হয় কিছু লাইনকে

কীভাবে লাইনে সাজাতে হয় শব্দকে

তখন তার হাত থেকে

গড়িয়ে পড়ে স্বার্থের লাইন, রেশনের লাইন

মন্দিরের লাইন টিউকলের লাইন

ঝগড়ার লাইন হতাশার লাইন


না প্রেমের লাইন পারে না লিখতে

কারণ প্রেম ত আসলে প্রতি পদক্ষেপে পেরেক ফোটার যন্ত্রণা


আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তা করা যায়না




আমাদের আজকের কবিতাগুলিকে

আমরা বলি ছেনালি , ছেঁদোমি

এইসব অপশব্দে ভর করে থাকে

বাজপাখি, মুখে তার বহু মৃত কবিদের প্রাণ


 কালোছায়াদায়ী ওই সুবিশাল পাখনাগুলি জানে

তাদের শাসনে আজ সমস্ত পৃথিবী


আলো আর অন্ধকার

গুহা আর কন্দরের নিচে

একদিন পড়ে থাকে ছোট ছোট কবিতার কণা


 বাজপাখি আলোর ভেতরে শুধু চক্কর মেরেছে

ওসব আঁধারে কেউ ছোঁ মেরে নেবেনা তাকে, জেনে

দুঃখী কবিতারা সব সোনাদানা হয়ে উঠতে থাকে


 অন্ধকারে থাকা হচ্ছে কবিদের চূড়ান্ত নিয়তি

নিভৃতিতে থাকা আর বেদনায় থাকা তার গতি

বাকি সব অলিগলি আলোতে ঘুরেছে যেই কবি

 থলে হাতে বাজারে যাওয়ার মত অবলীলাক্রমে

সেসব কবিতাহীন - সেইসব লঘু অবহেলা আর

পীরিতির ভাণ।


বাজপাখি দেখে তাকে অনেক ওপর থেকে, তাক করে থাকে

দুরন্ত কঠোর ঠোঁটে আস্তেসুস্থে দিতে থাকে শান।