দুটি কবিতা : প্রকাশ ঘোষাল

 





প্রকাশ ঘোষাল


শিশিরের দিব্যি


শিশিরের দিব্যি। ছায়াপথ সরিয়ে।
                  ঈশ্বর হেঁটে চলেছে
                        বুড়ো গাছের দিকে।
যার প্রকাশ্যে কোন বাঁশি ছিল না।

শব্দের করিডোরে।
           মাঝেমধ্যে ওই দু'একটা বৃষ্টির গল্প
কখনো বা। চোখে বিঁধছে চোখ। ত্রিশূলের মধ্যম ফলায়

ইদানীং ইহজাগতিক আহাম্মকের জৌলুশ। বেড়েই চলেছে।
রক্তের দ্রাব্যতারও কোন লেখচিত্র নেই।

এদিকে জলের প্রবাহমাত্রা।
               হু-হু করে নামছে।
আবহাওয়া মাপছে পাঁচফোড়নের চিৎকার।

বাইরে শুধু
একা একা রক্তস্নান।
---------



পা থেকে পা বেরিয়ে আসছে

এবং
ধ্বংসের বসতবাড়ি। গজিয়ে উঠেছে।

একটা বিরক্তিকর মাছি
            সংসার জাঁকিয়ে বসেছে ভোরবেলা।

আজও ভারতীয় মরা মুখ দেখতে দেখতে
                                 মরা মাঠ ছাপিয়ে।
নিজেরই মৃতদেহ ছুটছে
                                  সূর্যের কাছে।

সবই মায়া। কিংবা জগৎজোড়া বিস্ফোরণ।
                           ব্রহ্মের কোলাহল।
তারপর ঝুপঝুপ।
                                   মিহি অন্ধকার
লিখে রাখছে রাত্রির ফর্মায়।

মধ্যরাতের পা থেকে পা বেরিয়ে আসছে
                                গুটিগুটি সংগ্রাম।
                                   বাকিটা সরল মুক্তি।
আর ইচ্ছেসুখ।
এক আধটা জোরালো জীবন