পুনর্জন্ম
-----------
কাপালিক-দুহিতা
------------------------
বিপন্ন বিকেল ছেঁড়া ঘুমন্ত নূপুর
বাউলিয়ানা জ্যোৎস্না খুলেছে কদুর তেল
উজান হাওয়ার পথ, কাটা-গুল্ম বন
বিছায়ে বিছানাকান্দি রাখে কার মুখোশ-আড়াল।
অন্ধকার বিনির্মাণে;
মধ্যরাতের ধার্মিক মাইকে মাইকে গজরায়।
তবু...
শীতলপাটির জ্যোৎস্নারা তেপান্তরপাড়ে
সাল্লা-দিরাই হাওড় হেঁটে পার হয়ে যায়-
মৃত্যুর খোঁয়াড়...ক্লান্তিহীন, বোবা ও বধির।
রোদ্দুর নিঃশ্বাসে শুধু শেকড়ের টান!
সরলবক্রের জ্যামিতিতে সমস্ত পুরাণ অলংকারে
মানুষের-ই আর্তনাদ।
সেখানে রক্তাক্ত একমাত্র যন্ত্রণার অলংকার।
বিশ্বাসের প্রজ্বলনে-
জন্ম-জন্মান্তর মাটির মায়ার সন্নিহিত ভোরে
দুর্মর অক্ষর লেখে কবিতার স্বপ্ন, প্রাণের ঐশ্বর্য
সুরমা-নিষিক্ত জলে।
শুধু দাগ রেখে যাই- অনন্ত সাঁতারে, আর
দেহ থেকে খুলে রাখি লোবানের গন্ধ।
সমস্ত উজার করে তুলে রাখি কিছু নিষিদ্ধ-লোবান
আবার মানুষ বেশে আসি যদি ফিরে
কোনো এক শীতকালে।
সব ভান খসিয়ে খসিয়ে ছাপ্পড় মারবো
রাষ্ট্রের স্মারকে।
-------------------
খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন