গুচ্ছ কবিতা : বিভাবসু

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 





বিভাবসু
------------

১. যশোর রোডের চাঁদ

আমি চাঁদের দিকে কয়েক টুকরো মেঘ পাঠালাম।
জলভরা।
এতে কি চাঁদের কোনো লাভ হবে?
নাকি আমার কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি?

আমি যশোর রোড দিয়ে হাঁটছিলাম
সেই ইতিহাসের যশোর রোড
এন/২৬/১১ যশোর রোড পশ্চিমে আমার নিবাস
তাই যশোর রোডের সাথে প্রতিদিন কথা হয়
আমি ওঁর কান্না শুনি
হুঁহুঁ কান্না প্রতিদিন গাঢ় হয়
একটি সেবাযান মাঝরাতে দিকে দিকে বিলে করে
তাদের

শেষ রাতে যশোর রোড একটা বহমান নদী হয়ে ওঠে
একটা ভরভরন্ত নারী যেনবা
চাঁদ তাকে আরো অপরূপ আরো রহস্যময় করে তোলে

আমি চাঁদের মরুভূমিতে কয়েক টুকরো মেঘ
ওড়াতে চাই
যশোর রোড বলে 'আগে ডানা গজাক'—

২. আত্মচরিতের ভূমিকা 

সে লেখে নিজের কথা
সে লিখে রাখে অন্ধকারের উৎসাহসকল
ঘুমাবার জন্য সে একটা উত্তম খাঁচা নির্মাণ করেছে
আর তাতে জড়ো করছে দুবলা-পাতলা উধার
স্বপ্নময় আত্মপ্রেম
জঙধরা খুনসুটি

স্মৃতিকথার ভীড় নেই
অচিহ্নিত মায়াজল নেই কোনো
বিশেষ কোনো তাড়াও নেই

শুধু আতরের গুণগুণ আছে
নিঃশব্দের পায়তারা আছে
আছে অভিমানী আকাশ
আর কিছু পথভুল

সে শুধু ছুঁয়ে থাকতে চাইছে একটা অনন্ত সমতল
একটা মরিচীকারঙের প্রান্তর
আর অবিরাম ঘাসকথা

সে তো নিজেকেই লিখছে
আর সেসব শব্দের মধ্যে রুয়ে দিতে চাইছে ধীমান
বিস্মৃতি


৩. আরোগ্যসাগর

ছিনিমিনি খেলেছি
নিজেকে নিয়ে
তোকে নিয়ে
বাতাসে স্বপ্ন, সংঘাত ও সংগমের ঘ্রাণ
পথে পথে আলোহীনতার উৎস, উৎসাহ
আগুনে যতটুকু লেলিহান
তোর প্রেম তার থেকেও পলকা আর পতনশীল

ফাল্গুন এলো, আসে
স্পর্শহীনতার মগডালে নদীদের ক্লান্ত ভার
গল্পে কে কে উঠে আসে কে জানে
তোকে ভালোবাসতে ভালো লাগে না
তবু পথের শেষে বিজ্ঞাপনে শুধুই শৌখিন খিলখিল

সুখ বলে কিছু হয়?

ছিনিমিনি খেলছি
ছিন্নভিন্ন এক পাতালের সাথে