জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
বিড়াল
বাসর রাতে বিড়াল মারার গল্পটা জানি।কিন্তু সে অন্য কথা।এমন নয় যে বিড়াল আমার
অপছন্দ।শৈশবের যে প্রত্নচিত্রটি এখনো জ্যাঠামশাইয়ের দেওয়ালে ঝোলানো
সাদার উপর কালো নকশা কাটা সেই লজ্জাবস্ত্রটি আসলে একটি মার্জারশিশু।
ঈর্ষা নামেও বিড়াল হয়।যতক্ষণ পণ্ডিত ব্রিজভূষণের মধ্যলয়ে মিউমিউ বা
ওস্তাদ জাকির হোসেনের তাক তাক তেরে ততক্ষণ সে ভালো বন্ধু।
সরস্বতী বীণায় দীপক রাগের ঘ্যাঁও শুরু হলেই সে আর মাসি নয় বোনপো বাঘ।
সে বেডরুমের আপদ ডাইনিং টেবিলের তোলাবাজ দুর্দম দানব।ছাদ থেকে ফেললে
হনুমান ছুঁড়ে ফেললে প্যাঙ্গোলিন ভয় দেখালে শজারু আর
লাঠি চালালে রাক্ষস।তাকে জব্দ করা অসম্ভব।
আপদমুক্তির শেষ অস্ত্র নির্বাসন।গজুর শরণাপন্ন। বস্তাবন্দি বিড়াল আর পাঁচশো টাকা
তারপর দুটো মাঠ তিনটে খাল দুটো নদী আর চোদ্দটা গ্রাম পেরিয়ে অন্ধকারের বরাভয় মুদ্রা।
তবে রাতের ঘুম আগে ভাঙলে একটা অভাববোধ ওড়ে।অস্বস্তিকর শান্তি জানে
না ফেরার দেশ। চায়ের চুমুক গ্রিলের ফাঁক পুরাতন ভৃত্যের নুলো বিস্কুটটাকে
ডাকে ম্যাও!
তারপর হাঁমুখে পরাজয়ের আনন্দ যত হতাশা সব ভ্যানিশ!
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন