সুবল দত্ত
বিদেশ ০১
এক সহবাসের কার্নিভ্যালে আমি
অদ্ভুত সব দূর্ভোগ পথে প্রাণী মিলনের কম্বিনেশন
কখনো কেঁচো আর প্রজাপতির সাথে চাষি
কখনো মানব শিশু আর কুকুরের যৌথ লালন
কখনো বাদুড় ও বিষানুর সাথে নারী
আমি বহুদিন ধরে জাহাজের মাস্তুলের উপর
আমার মাথার উপর পরিযায়ী দিকভ্রান্ত পাখি
নিচে সামাজিক হাঙরের ঝাঁক
বিদেশ ০২
ভোর তিনটের সময় ওয়াশিংটন স্টেটে
সময় জবরদস্তি ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা নামিয়ে দিল
সবাই ভীষণ অখুশি, ডে লাইট সেভিংস শুরু
লেবারদের থকা হারা মুখ
আরো এক ঘন্টা বেশি রক্ত মাংসের ধকল?
পৃথিবীও কি ছাড়বেনা আমাদের?
আমি তখন মেপলের কচি ডালে চোখ রেখে বসে
তামাম দুনিয়ার শোষণ লুঠ তরাজ উগ্রবাদ প্রাণী হত্যা ধর্ষণ ধর্মান্ধতা মাথায় থাক
ওই সিস্টেম কখনোই শেষ হবার নয়
আমি চোখ রেখে আছি ঠিক কটার সময়
মেপলের কচি বৃন্তে উঁকি দেবে কিশলয়
দেখছি আর চোখে ভাসছে পলাশের অগুন্তি শাখায়
ঠিক এমনই করেই উঁকি দিচ্ছে শীতল প্রেমাগ্নি
বসন্ত এসে গেছে।
বিদেশ ০৩
আস্তাবল পেরিয়ে বিস্তীর্ণ চারণ ক্ষেত্র
যেমন ঘোড়া তেমনি ঘোড়সওয়ার
যেন এখনো এখানে রূপকথা
মাইল জুড়ে আমেরিকান ঘাসের আগায় মনোরম দ্যুতি
শৈশব ছিল নির্জন ঘাসে শিশিরের হীরে কণা
রূপকথায় টগবগ টগবগ স্বপ্নিল ঘোড়া
আমাদের দেশ হঠাৎ নির্মলতার কাঙাল কেন হোলো?
হঠাৎ হারিয়ে ফেললাম ঘাসের আগায় শিশির?
ভাবতে ভাবতেই পাইনের ছায়ায় পা রাখি
অজস্র অপরিনিত প্রচুর পাইন ফল
আমাদের উপেক্ষিত মুমুর্ষু পিনিয়াল গ্রন্থির মতো
এখানে পাইন ফল ওখানে আত্মচেতনা গ্রন্থি
জন অরণ্যে পড়ে ঝরে নেতিয়ে যাচ্ছে
খতম হয়ে যাচ্ছে নির্মলতা
ভালোবাসাহীনতায়
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন