মৃণালেন্দু দাশ
নিঠুর এসেছেন , একাই
------------------------------
নিঠুর এসেছেন , একাই —
বাঁশিটিও সঙ্গে নেই , রাধা অভিমানে
চাঁদ মেঘের আড়ালে , শশব্যস্ত কৃষ্ণ
প্রসুতিসদন থেকে কান্না ভেসে আসে
কোল আলো করে চাঁদ ওঠে ওখানেই ,
----
হরিণীর চোখে জল
--------------------------
হরিণীর চোখে জল , বৃষ্টি নামে বনে
বাঘেরা ভিজছে খুব , ভিজুক উহারা
আমরাও ভিজি , সংগোপনে —
-----
দয়াময়ীর উঠোনে হাট
------------------------------
দয়াময়ীর উঠোনে হাট —
রসকলি আঁকা গোঁসাই এসেছেন নদীয়া থেকে
তার নিটোল শ্রীঅঙ্গে কীর্তনের ঢেউ
খোল বাজে ,বক্ষে বক্ষ মিলি ধায় উতল পবন
দয়াময়ী লুটাইয়া পড়িলেন হরির ধূলায়
দেখেন ,শরীর ,শরীর নাই বাঁশরি হইয়াছে ....
-----
বিপুল বসেছে পাশে
----------------------------
বিপুল বসেছে পাশে , বিগলিত মন
তোমাকে দেখার ছলে আঁধার রেখেছি যত্ন করে
যেভাবে , জানালা ঢাকে পর্দা —
ঘরের ভিতরে আয়নায় কত মুখ খেলা করে
মুখেরও মুখোশ হয় জানা ছিল না —
দেখি তারাই আসল মুখ অন্যরা সব ধূসর
অকারণ ধূলায় গড়ায়
—এসো তুলে রাখি , যদি কাজে লাগে তারা কোনোদিন
তোমারও ভাঙন আছে
------------------------------
ভাবিনি , তোমারও কোনো ভাঙন আছে—
মরা নদী স্রোতের বিরুদ্ধে কখনও যেতে পারে ,
বিশ্বাসই হয়না , তবুও ....
জলের বিকল্প খুঁজে সাদরে কান্না এনেছি বয়ে
দেখি ,কান্নারও অভিমান ঠিক তোমার মতন
ঘুমের ভিতরে এইসব নিয়মিত ক্রিয়াশীল
অতএব ঘুমকেই করেছি বাতিল —
যেভাবে ধৃতরাস্ট্র ঘুমোতে পারেননি বহুকাল
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন