মন্দিরা ঘোষ
মধ্যবর্তিনী
১.
এ মধ্যবিলাস ক্যালসিয়াম শূন্যতা
অন্তরঙ্গ নাইটক্রীমে লেপ্টে থাকে
নীল অসুখের ইন্ধন
মেঘলা জমিতে সরু স্ট্র্যাপের রাত
মেয়েলি জ্যোৎস্নার ঘায়ে ঢুকে পরে তলপেট
পাড় ভেঙে ভেঙে খিদের পাতে
বেড়ে দেয় রাত
২.
বাঁচার সৈকতে ভেঙে যায় নীল আতান্তর
সেলাই করা ঘামে চেপে বসে সমুদ্রবিকিনি
কোমর কামড়ে নামে নদীরঙা ঢেউ
ভেজা চ্যূতির আড়ালে জেগে থাকে
ভিসুভিয়াসের গ্রাম
৩.
এসব অলিখিত রতিখেলায়
নদী ডাকে মধ্যরঙা বিকেলের তাতে
স্তন ফেটে গলে পড়ে চাঁদের করুণা
শ্মশানের গূঢ় মায়ার মতো
অন্তিম ডেকে নেয় পাহাড়ি জঙ্ঘায়
মন্থন সেঁচে উঠে আসে ছাই
৪.
শীতার্ত গাছের কাছে ছিঁড়ে রাখা
ভুল সঞ্চয়ের তথ্য
সব অসমাপিকা ক্রিয়া
ঝিমোনো প্রশ্রয় মেনে নেয়
সময় মাঝে মাঝে চমকে দেয় সামনে থেকে
পিছনে বা একটু এগিয়ে যেতে চাইলে
মুছে যায় বর্তমানের বানান
৫.
বেঁকে যাওয়া মেঘের প্রার্থনায়
ছিঁড়ে যায় বৃষ্টির সম্ভ্রম
দূরত্বের ধমনিতে ক্লটেড মনখারাপ
হৃদযন্ত্রে পাখির বাসা
চোখের ভেতরে ভাঙছে জলস্থল
তীব্র জ্বর ঠোঁট বুলিয়ে নিচ্ছে অগস্ত্যযাত্রায়
৬.
গড়িয়ে যায় যুদ্ধের ফলাফল
স্থানাঙ্কজ্যামিতিতে ফিকে দাম্পত্যের রেখাগুলি
ঢুকে পড়ে কিউমুলোনিম্বাসের ঘনত্ব
আয়নায় নিটোল তছনছের ইকুয়েশন
সরে সরে যায় জানলা দরজা এবং
আঙুলের চরিত্র
ফল ফুল এবং ঈশ্বর তাকিয়ে থাকেন নির্নিমেষ
৭.
সব না থাকার গায়েও চাঁদের ছায়া পড়ে
সব থাকার কাছেও শুকিয়ে ওঠে ঠোঁট
প্রতিটি দাগে লুকিয়ে থাকে নিজস্ব পঙক্তি
সেগুলি আলাদা করতে গেলে
ঝন ঝন শব্দ হয়
ছিঁড়তে গেলে রক্ত ঝরে
আড়াল করলে জন্ম ফুরিয়ে যায়
প্রতিটি অনুচ্ছেদ অনবদ্য
উত্তরমুছুনপ্রিয় কবির জন্য শুভেচ্ছা