মন্দিরা ঘোষ
আড়ি
পূর্বরাগ
শূন্যতায় ঝেঁপে আসে বৃষ্টিদাগের করুণা।
অথচ একটানা শুকনো বাজিয়ে চলেছে ঋতু চরকা।
রাংচিতার চাউনিতে থোকা থোকা অন্ধকার জন্মাচ্ছে।
শিরা ফেটে রিপুক্রোধ বেরিয়ে এলে স্তিমিতরা
সাদামেঘ চায়। ওষধির বন পাতে।
ডানহাত ডেকে তোলে পশ্চিমের স্তাবক পাখিফসলদের।
ওদের ডানায় পূর্বরাগের পদ। মাথুরের পান্ডুলিপি।
কাশবনের গেরস্থালিতে ওত পেতে থাকে বেহদ্দ জোনাকি।
নবমী
ঘাসলতা জানে ফলার মতো ছিঁড়ে ফ্যালা রাতে
সব অমঙ্গল নিয়ে উড়ে যায় জলপরী মেঘ।
বালিশ লেগে থাকে কান্নার উদ্বাহ।
পূর্বদিকের খোলা ছেঁড়ে ঝিঁঝিঁ পোকারা।
নৈঃশব্দ্যের সরা ভেঙে যায় ভোরের তালিতে।
জানলায় জানলায় আলোর খুশবু ছড়িয়ে দেয়
চোখের দৈনিক । অন্ধকার কাঁটা খুলে দেয়
চুলের নবমীতে। কাঁচুলি সকাল ঈশ্বরী পায়ে
নামিয়ে দেয় ঝলমলে রোদের তোড়া।
বিসর্জন
চৌকাঠে জল মাড়ুলি মমতা পরিয়ে দিচ্ছে ভোরের নথে ।
কাঁসার আঙুলে শাখাপ্রস্তাব নামানো।
ঘরবৌদের উঠোনে আজ মাছযাত্রা। তেলসিঁদুরের আহ্লাদ।
নাপতিনিআলতায় ফুটে উঠছে বিসর্জনের বাজনা ।
একরাশ খুশির কড়চায় মনকেমনের মেঘ দশমীচোখে।
মনমরা শিউলির সাথে সই পাতা উপসংহার
তাই ঠোঁট ফুলিয়ে আড়ি করছে শরৎ কে।
একা চিত্রকর অবুঝের বুকে কাটাকুটি খেলছে ।
ধুনোর বিষণ্ণতায় ঢেকে যাচ্ছে অপুর রাংতামোড়া দুর্গাআকাশ।
খুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনভালোবাসা নিও
মুছুনঐ দুর্গাআকাশে ধুনোর বিষণ্ণতার আড়াল সরিয়ে ধ্বনিত হোক তোমার
উত্তরমুছুনশব্দশঙ্খের অমলিন মুখরতা ....
আন্তরিক ধন্যবাদ
মুছুন'বিসর্জন' মন কেমনের পূর্বলিখন।
উত্তরমুছুনশুভেচ্ছা জানাই।
উত্তরমুছুনবাহ ভীষণ সুন্দর। প্রতিটি কবিতা বারবার পড়লাম
উত্তরমুছুনঅসংখ্য ধন্যবাদ।
মুছুন