গুচ্ছ কবিতা : মানবেন্দ্র পাত্র

শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 





মানবেন্দ্র পাত্র


প্রার্থনা 


তারা সব জ্বরের পেশেন্ট। 

মাফলারের মায়ায় শুধু ফুটেছিল চেরিফুল,

ডালিম জাগেনি সেই রক্ত শিরায়। 


ক্ষত গুলো পুঁইমাচা জুড়ে এখনও ডেকে আনে উর্বরা লতানো আলোক...


মেঘ কেটে গেলে --- সারা রোদ গায়ে মেখে, 

জেগে ওঠে শিমগাছ 

তার বীজে আরোগ্য প্রার্থনা।


----------------------+++


রংধনু 



একটি নদীর মতো সেও বয়ে যায়;

অলকানন্দায় ছিপ ফেলে 

ধরে যারা মাছ, 

মাছের টলমল চোখ! আমিও কি দেখি তাকে?


কানের লালের পাশে তিক্ত এ ঠোঁট --নিকোটিনে ভরপুর

উজালা স্রোতের টানে বড় নদী সাঁতরে পেরোই।

জলের রীতি মেনে

নদীর শরীর থেকে প্লাবন, মাছের আঁশের পিচ্ছিলতা ছুঁয়ে --- বসে থাকি জলময় কোমর সমান।


আহা! তাদের গায়ে তো সেই সাতরং দেখি।


-------------------------------



বাবলা গাছ



একলা নির্জন কোনো দেশে

বাবলা গাছের নীচে কবেকার শাড়ি ওড়ে সান্ধ্য বাতাসে।

তার আর রতিকথা নেই,

বোবা কাঁটার ঝোপে কিছুটা সম্ভ্রম।

---চিকন ঘাসের সবুজে একটু একটু তাকে দেখা যায়,

নতুন ধানের রূপ; প্রতিবেশী মনে হয়

                                  মায়া চাঁদ'টিকে।

কোনও এক তাসের ঘরে 

সেইসব আদিম আকৃতি ও গিলে ফেলা ক্ষুধা, 

           কিছুকিছু অতি-প্রাচিনতম নবিশি আলাপে      খিলখিল বেজে ওঠে--- হলুদ পুকুর!


এখনও ডুবে যায় হলুদ রমণী-রমণ

গহনা খুলে রেখে গতর মাজে

ধুয়ে দেয় সমস্ত সাজ---


হলুদ হলুদ ফুল, নদী জুড়ে বাবলা গাছ।