মানবেন্দ্র পাত্র
প্রার্থনা
তারা সব জ্বরের পেশেন্ট।
মাফলারের মায়ায় শুধু ফুটেছিল চেরিফুল,
ডালিম জাগেনি সেই রক্ত শিরায়।
ক্ষত গুলো পুঁইমাচা জুড়ে এখনও ডেকে আনে উর্বরা লতানো আলোক...
মেঘ কেটে গেলে --- সারা রোদ গায়ে মেখে,
জেগে ওঠে শিমগাছ
তার বীজে আরোগ্য প্রার্থনা।
----------------------+++
রংধনু
একটি নদীর মতো সেও বয়ে যায়;
অলকানন্দায় ছিপ ফেলে
ধরে যারা মাছ,
মাছের টলমল চোখ! আমিও কি দেখি তাকে?
কানের লালের পাশে তিক্ত এ ঠোঁট --নিকোটিনে ভরপুর
উজালা স্রোতের টানে বড় নদী সাঁতরে পেরোই।
জলের রীতি মেনে
নদীর শরীর থেকে প্লাবন, মাছের আঁশের পিচ্ছিলতা ছুঁয়ে --- বসে থাকি জলময় কোমর সমান।
আহা! তাদের গায়ে তো সেই সাতরং দেখি।
------------------------------
বাবলা গাছ
একলা নির্জন কোনো দেশে
বাবলা গাছের নীচে কবেকার শাড়ি ওড়ে সান্ধ্য বাতাসে।
তার আর রতিকথা নেই,
বোবা কাঁটার ঝোপে কিছুটা সম্ভ্রম।
---চিকন ঘাসের সবুজে একটু একটু তাকে দেখা যায়,
নতুন ধানের রূপ; প্রতিবেশী মনে হয়
কোনও এক তাসের ঘরে
সেইসব আদিম আকৃতি ও গিলে ফেলা ক্ষুধা,
কিছুকিছু অতি-প্রাচিনতম নবিশি আলাপে খিলখিল বেজে ওঠে--- হলুদ পুকুর!
এখনও ডুবে যায় হলুদ রমণী-রমণ
গহনা খুলে রেখে গতর মাজে
ধুয়ে দেয় সমস্ত সাজ---
হলুদ হলুদ ফুল, নদী জুড়ে বাবলা গাছ।
বাহ, ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জানবেন। ♥️
মুছুনখুব ভালো। একটা মায়া আছে কবিতায়।
উত্তরমুছুনবিষয়ভাবনাতেও নতুনত্ব।
আপ্লুত।আমার আন্তরিক প্রীতি ও নমস্কার জানবেন।
মুছুন