কবিতা : পিনাকীরঞ্জন সামন্ত

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 





পিনাকীরঞ্জন সামন্ত


পোস্টমডার্ণ সম্পর্কিত চারটি

১)
কাশবনের হাসি থেকে দোলন চাঁপার দূরত্বের মধ্যেই
আমার না বলা কথাগুলি ছমকে ছমকে যে সুর তুলে আমাকে বাজায়.... আর আমি যেহেতু অতীব তীব্র ঘন বসতির ছায়া - দে দৌড় স্বপ্নের ভিতরে আমার যাবতীয় খেলা -- আমি আর কাশবন, আমি আর দোলনচাঁপা কোন এক বিকেলের সম্মেলনে অনায়াসে পড়ে ফেলতে পারি ১৪০০ সাল - আর দেখি - ঐ যে চন্দ্রদীপা হাসছে, হাততালি দিচ্ছে অথবা হয়তো চাঁদও হাসছে আকাশে আকাশে ভেসে । 

২)
এইমাত্র যে শব্দগুলি মাথার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে সেইগুলি নিয়েই আপাতত আজেকের রেসিপিটা আমাকে গান শোনাবে । এইমাত্র আমি আমার চোখের দরোজা খুলে ফেললাম, আর দরোজা খুলতেই দেখি সামনে ইকোনমিক টাইমসের পাতায় আমার পূর্ব পুরুষের হারিয়ে যাওয়া ছবি ও আমার রক্তের উন্মাদনা, যেখান থেকেই হয়তো শুরু হতে পারে শারদীয়া ১৪০০ র মুখবন্ধ এবং তার পরবর্তী বাতাস, মৃদু মৃদু, ছন্দ ছন্দ খেলা.......

যেখানে যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারে আমি মানে এই হতভাগা, আদৌ কোনো কবিতা লিখতে পারি কি না.....?

৩)
কবিতা মানেই আবেগ, ছন্দ বা চিত্রকল্প নয়, কবিতা মানেই অধ্যাপকের লম্বা ফিরিস্তি নয় - কবিতা মানেই নন্দনে নন্দিত কবিতা পড়া নয় । কবিতা ঐ কলকল, নদী, স্রোত, পাহাড় পর্বতের  ইশারা - কবিতা শাল মহুয়া শালুক মেশানো পদ্মদিঘির চকিত চাহনি বোল । কবিতা আমার যৌবনের সেক্স, প্রৌঢ়ত্বের নেশা, বার্ধক্যের আফিম - হায় কবিতা...... টুং টাঙ আরো অনেক কিছু হতে পারে । 

ধরা যাক - ঐ জোড়া শালিক এখন আমার দুয়ারে -  ধরা যাক -  ঐ কুকুরটির ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো,
আর ধরা যাক - ...অ আ ক খ... এই আমার কলমটি চলছে, আবার এইভাবে ধরা 
যেতে পারে - ... X Y Z.=.. চলতি হাওয়া....,।

৪)

কাকাতুয়া পাখিটির চরিত্র কথা আমার জানা নেই, বকবকুম পায়রাটির কী রঙ, বা ঐ  সবুজ পাণ্ডুলিপির পাতায় এতক্ষণ যে ধূর্ত বিড়ালটি বসেছিল ... 
অতএব ইহা কখনোই চেতনার সুখ স্পর্শ মাখানো সুন্দরী বাতাবি লেবুর আত্মকথা নয় বা ঐ সুন্দরী  ময়ূরীর পেখম ছড়ানো কোনো নৃত্যগীত । বাইপাসে চাঁদ যদি না হাসে কীভাবে ঐ নগ্ন তরবারি উন্মোচিত হবে তুরীয়ানন্দে ? 

না -- আমি কোনো ছেদনের পক্ষপাতি নই, বরং উড়ে আসা ধূলিকণার রং থেকে যেটুকু গন্ধ প্রবাহিত, তা থেকেই আমি - এবং আমি...

এবং আমার যাবতীয় কৌতুহল বা প্রতীক্ষা, শিহরন জনিত উদ্বেগ --
মা গো -- মা - তুমি এবার বল --  সা রে গা মা'র সহজ নিয়মাবলী,  যা থেকে সহজেই  উন্মোচিত হবে আমার সব না বলা উপাখ্যান -- ইতিমধ্যে

হুররে- কী আনন্দ - ঐ দ্যাখো - ধূর্ত বিড়ালটি কেমন হাসছে, আর মিউ শব্দে চেটে নিচ্ছে এই মনুষ্য পৃথিবীর সব কিছু অহঙ্কার ।