দুটি কবিতা : দেবযানী বসু

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 






দেবযানী বসু


১. জানলায় বসা ড্রোন


রামধনু প্লেটে সার্ভ করলে চেরা বিদ্যুত সার্ভ করা যাবে না এমনটা শতবার্ষিকী হলের সামনে লেখা ছিল না-- লেখা ছিল প্রেম নন্দিনীর -- সেটাও হাঙর এসে গিলেছে।
বিশাল কর্পোরেট নাক ডাকতে ডাকতে ঘুমিয়ে পড়েছে। নিদারুণ থরোথরো সময় ম্যাচো হেলিকপ্টারের চাকায় জড়িয়ে সামান্য কুপোকাত। ম্যাট ফিনিশিং ঠোঁটের ড্রিবল করে যাওয়া রাস্তা ফুরায় না। আমি তাতে গড়াগড়ি দিই। কাজলি গাই আর কাজরী দিদিমনির তত্ত্বাবধানে দিন কাটে। ফুরফুরে তিন ভাই স্থলকমল হাত-পা বাঁধার গানটি গলায় বেঁধে আমার সীমান্ত পেরোল আর এল না। ছিলিমে পোরা গল্প  সাদা কাশফুলের মাথাটি ধানক্ষেতের ক্যানভাসে চেপে ধরে কালো করে দিয়েছে। চাষীর কাজ কাশবন উজাড় করা। ড্রোন পাঠাব ষোড়শ জনপদের রাজার চিকিৎসালয়ে।

২. মূলাধারে উৎপাদিত লেজ

গদি থেকে নিম্নচাপের বৃষ্টি হচ্ছে সারা বাংলা ভিজছে। দান খয়রাতির সলতে পুড়ে শেষ হবে একদিন। নব নব ভিখারি জন্মায়। রক্তবীজের বংশ প্রসার খায় নধর হয়। শব্দ বুঝে ক্লিক করার আঙুল কাউকে দোষী করবে না। কথা দিয়েছিল। দেওয়া কথায় থাকাথাকি আর নেই। শব্দকল্লোল আসছে দেখে একজন মাটিতে শবশয়ানে।
চোরের ভয়ে জননী দিগম্বরা ঘুমায় রাতে। পাখিরা তর্ক ভালোবাসে আর শব্দের ব্যঞ্জনা খুঁটে খায়। আমি বাজনা শব্দের সঙ্গে ব্যঞ্জনা শব্দটি গুলিয়ে ফেলি। পাশ কাটানো দোষে দুষ্ট হই। ভিখারিদের আত্মার আত্মীয়টি পিনহোলের মুখ বন্ধ করেছে। স্বপ্নেই পুরো শহর বুকে জাঁকিয়ে বসে। মূলাধারের চারপাশে অসংখ্য অর্শ আমার স্বার্থপরতা বাঁচিয়ে রেখেছে।