বনশ্রী রায় দাস
সুযোগের কারবারি
ভাদ্র মাসের ভিতর থেকে বেরিয়ে
এখনও মেঘ ঝুলে আছে সাদা বকের ডানায়
তুমি দেখেও না দেখার ভান করে
নোনাচরে থাকলে চাঁদের বাহু আঁকড়ে
কি চাও তুমি প্রাচীর ভাঙ্গা উড়াল ?
সবাই সুযোগের কারবারি
বুকের ফাটলে কড়কড় আওয়াজ হলেই
ফুটৌ ছাতার জল ঢুকে পড়ে রক্তে
কোষে কোষে শিকড়ে বাকড়ে ধর্ষিত ধুলোকথা
ঢিলেঢালা সম্পর্কে ভাইরাস বাসা বাঁধে সহজে
ওল্টাতে গিয়েই বিপত্তি ইতিহাসের পাতা
ডুব সাঁতারু হয়ে অন্দরে ঢুকে পড়ে আদিমতা
------------------------------
অকৃত্রিম
ম্যাজেন্টা রঙের কচি পাতা গজিয়ে উঠেছে
অলচিকি ভাষার মাথায়
মারাংবুরু থানে মকর সাজিয়ে সঙ্গে
নতুন চালের অকৃত্রিম ,
মাটিগন্ধ পোশাকের ভিতর খলবলে নদী
গুগলি মাছ শাকের কোমলযোনি
ধ্যানের স্নানজলে তাদের ধনুষ্টঙ্কার ছায়া
আঙুল জড়িয়ে শরীর ঝুঁকিয়ে নারী পুরুষ
মহুয়ারসে ভিজে যায় মাদলিতাং
নেই এখানে গোপনে রাখা কোনো দরজা
প্রত্যেকটি জীবনে চৈতন্য প্রাপ্তির জন্য
চাই দেহ-হীন প্রেম-বরাভয়
আমরা কেবল শরীর পরে থাকতে অভ্যস্ত ।
---------------------------
একটি প্রেমের কবিতা
বৃষ্টি থামিয়ে যখন তুমি আসতে আইলাইনারে
বিকেলগুলো সাজিয়ে দিত চায়ের কাপ,
লাফিয়ে বেড়ে যেত বড়ঘড়ির পাল্সরেট।
তোমার হৃদি-উদ্যানে রোদের পারদ
মাপতে মাপতে থার্মোমিটার নিজেই সমুদ্র ,
গাছে গাছে লাল নিশান জোনাকির করতালি
করিডোরে কুঁড়ি সবে স্তনবৃন্ত, আহ্নিক সমাগত ।
ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করি
কতবার জন্ম আর মৃত্যু খেলার অংশ হতে হবে
মৃত্যুর ঢেউ ছিঁড়ে ফেলবে
সূর্যাস্তের উদ্ধৃত হৃদিকুসুম !
শরীর ভেঙ্গে সেদিন তুমি হবেই
আমার কবিতা, আমি সেই অ-কবিয়াল ।
----------------------------
আহা! চমৎকার।
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা জানাই কবিকে।
উত্তরমুছুনআহা,মুগ্ধতা
উত্তরমুছুনবেশ ভালো লাগল।
উত্তরমুছুন