দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
ধানখেত
------------
ধান্যক্ষেত্রে রৌদ্রপড়া দুপুর দেখে যান,
পাখি ডাকছে,ঘুম পাচ্ছে, ঘুমে অষ্টখান।
পাড়ে পাড়ে গাছ বসেছে
রুপোলি সব ফোনের থাম।
বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিচ্ছে
রক্তিম সব পাথরখাদান।
সাইকেলের চাকায় আমি
মাড়িয়ে যাচ্ছি রঙিন মাটি;
ঘুরতে ঘুরতে চলেছি গ্রাম গ্রামান্তর।
মানুষজন বাঁকা কাঁকাল
কেউবা গাছের মতোন সটান।
কেউ নষ্ট কুমড়ো ছাঁচি
আত্মীয় কেউ কেউ বা পর।
দেখার শেষ গ্রামের শেষ
শূন্যমাঠ বাতাসটান।
দাঁড়িয়ে আছি রৌদ্রমাথায়
ফুটিফাটা ছত্রখান।
আনন্দ আর দুঃখে মেশা
কলকলানো পাখিবাগান।
আর কিছু কি দেখার নেই
সন্ধে নামছে গভীর ভাসে
শাঁখের গান।।
.........
গাছের কথা
-----------------
কোথা হে গাছের কথা বলি
ডালপালা জুড়ে তার লেগেছিলো ঘ্রাণ।
তাকে হত্যা করে চলে গেল আমাদের লোক।
জড়িয়ে ধরে কি বলা যেতো না আগে আমাদের হত্যা করো।
যতো মানুষ মেরেছো মানুষ, তার রক্তে হয়নি সন্তোষ।
পাখি পাখালির মতো কোথায় লুকাবো নিজেকে।
এই সব মানুষের দোষ সকলেই জানে
সকলে জানে উদ্ধত কুঁড়ালের ক্রোধ।
মানুষ জন্মের ঘৃণা
কেউ কেউ করে
সকলে করে না তারা
আজ প্রথম সন্ধ্যায়
মানুষের নিষ্ঠুরতা
ছিঁড়ে কুটি কুটি করে
গাছের তলায় রেখে গেল
একটি প্রস্ফুটিত শোক।
ছিন্ন কাপড় তার রেখেছিলো গাছ।
আর আসে না এখানে
সপ্রাণ ডাহুক।
অবশিষ্ট গাছ থেকে
ঝরে যায় সারারাত শোক।
আমি তোমাদের কেউ নই বলে ছেড়ে চলে যাবো
এই মাঠ এই গাছ মানুষের
কুয়াশার দেশ।
এইখানে রক্তপাত হয়েছিলো মনে যেন থাকে।
খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনঅনন্য
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো দুটি কবিতাই!
উত্তরমুছুন