গুচ্ছ কবিতা : নীহার জয়ধর

 




নীহার জয়ধর


 হাবিজাবি


আকাশ সেদিন ফুটো হয়েছিল

খসে পড়ল সূরি গর্ভভার


পূজারীরা সবেতেই ফুল দ‍্যাখেন সকালে

মাটির দেবতা বোঝেন না এঁটোকাঁটা


গৃহস্থ কই মাছ ধরলেন, 

মেঘ ডেকেছিল শেষ রাতে, 

গৃহিণীর হাসি মুখ, চোখে নিশিরঙা সন্দেহ


পয়সা উড়ছে বলে দু-হাতে গোছালেন ছালা

বণিকের ট‍্যাক্সেই চলে দেশ

গাছ আর তলা সবেতেই যোগ‍্য আর একক অধিকার


জানাজানি হতেই ---


চাষি এসে বলল, তার ফুলের বাগান খালি

জেলে পুকুর খুঁজে বেড়াচ্ছেন মাছ সহ

রিসার্ভ ব‍্যাঙ্কের গভর্ণর জানালেন 

হাজার কোটি হাওয়ালা হয়েছে


বাকি সবাই সেই সকালে আলো দেখেছেন শুধু,

বেঙ্গলি টিউশনি পথে মেয়েটির রুদ্রপলাশ তুলে নেওয়া


কাগজের খবর আর প্রত‍্যক্ষদর্শীর লড়াই লেগেছে

সব কেনা হয়ে গেলে শিরোনামে পড়ে থাকে


ঘোড়ার কেটে নেওয়া ঘাসের উদ্বৃত্ত 



যেভাবে তোমাকে পাই

      

ন'টা পাঁচটার পিতৃত্ব বিরতির মাঝে  

যতটুকু বাবা ডাক মনে পড়ে

সেইটুকু টানে তুমি হাতেখড়ি

       

ডাটা পাড়ার জন‍্য ডাল কাটা হলে, 

সজনের যতটা দধীচিবোধ অনুভবে আসে 

"কারণ" ভাষা কেড়ে নিলে সেই বোধে বোবা হই

       

বেকার যুবক পাতাঝরা কাঠবাদামাদের তলায় 

প্রেমিকাকে বিয়ে করে নিতে উপদেশ দিলে  

যে গান বাঁধে ঘুঘু পাখি 

তুমি সেই শব্দপাঁজর খাট

            

প্রেমিক স্বামী হলে যতটুকু জমিদারি দখলে আসে 

ভাষা, তুমি সেই সামন্তপ্রথা

            

অচেনা পুরুষ 

পেঁয়াজের খোসার মতো অন্তর্বাস খোলার 

অধিকার কিনে নিলে 

ভাষা তরল হয়, গাল বেয়ে নামে

          

আমাকে পছন্দ নয়, 

এই স্পষ্টতায় যতটুকু শিক্ষা দেখি আমি 

ভাষা, তুমি সেই "না"-এ লেখা অর্জিত সভ‍্যতা 

         

তারপর নির্জনতা আসে, 

মাংকিটুপিতে ওঁ শিখি নাভিমূলে

একা একা কথা বলি, 

শোলমাছের বোটকার মতো তুমি উচ্চারিত হও


কোচ হাতে ধর্মরাজ একপায়ে….পরম শিকারি


বলার জন‍্য ফিরে আসতে চাই বারবার

চুরাশিলক্ষ‍ যোনির চক্র চলুক...... ক্রমশ




বোটকা = শোল-গজাল মাছ গভীর কালো জলে থাকে । অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস ছাড়তে ওঠে। মাছে সশব্দ শ্বাসছাড়াকে  "বোটকা" বলা হয়। শিকারি, কোচ নিয়ে অপেক্ষা করে সেই বোটকার।