তৈমুর খানের চারটি কবিতা
অনুপস্থিতির স্বাক্ষর
_________________
সমস্ত খোলা জানালায় তুমি আর নেই
তোমার নতুন পোশাকের গন্ধ
আর আয়না বসানো পার্থিব মুহূর্ত
চেয়ে আছে
আমি রাস্তা পেরোচ্ছি
তোমার খোলা জানালা চেয়ে চেয়ে দেখছে
উদাসীন
__________
এভাবে নষ্ট হতে হতে উদাসীন হই
আলোর পাখিরা উড়ে যাচ্ছে
বহুদূর আকাশে আকাশে
ভাষা হারিয়ে নিজস্ব ভাষা খুঁজছি
শব্দগুলি ঝরে যাচ্ছে
ক্লান্ত বিকেল এখন
একুশ শতকের এই ক'টি দিন
________________________
নিজেকে নিজেই ডেকে নিয়ে যাচ্ছি
বাড়িটি অতিবাস্তব
শূন্যতায় আত্মাগুলি ঘোরাফেরা করে
জলপানের শব্দ হয় , অতিচেতনার শ্বাসপ্রশ্বাস শুনি
এক একটা আলোর মাছ দৃশ্য থেকে অদৃশ্যে যাওয়া আসা করে
দাঁড়িয়ে থাকলেও সচল মনে হয়
উলুধ্বনির শব্দগুলি পেছন পেছন হাঁটে
মাঝে মাঝে উড়ে আসে শাড়ির আঁচল
একটি সভ্যতা এখনও জেগে আছে ?
নিরুত্তর বাতাসে কারও কাঁকন বাজে
আলো-আঁধারের ছায়ায় কোনও কাহিনি
আমাদের বিশ্বাস অর্জন করতে চায়
নিজেরই হাত ধরে পার করি একুশ শতকের
এই ক'টা দিন
আর রাত
আর নিজস্ব জানালায় ম্লান হয়ে ঝুলে পড়া
লজ্জা চেয়ে ফিরে যাচ্ছি
_____________________
গোপনে গোপনে আসি
জীবিত হই
তোমার টিউবওয়েলে জল পান করি
সমস্ত রাস্তায় রোদ
অনন্ত দুপুর
আমাকে হাঁটায় শুধু একা একা নিঃস্ব প্রলাপ
চোখের কাজলে চোখ লেপ্টে গেছে
কবরী খুলেছ শান্ত পুকুরের জলে
আজ নম্র স্নানে তুমি মানবী হয়েছ
হেলাফুলের কাছে আমিও ভিখিরি
লজ্জা চেয়ে ফিরে যাচ্ছি
গ্রীষ্মকাল, আমার কোনও ছাতা নেই
পুরোনো সাইকেলটির মতো আমিও একাকী
দারুণ
উত্তরমুছুনশেষের কবিতাটি অপূর্ব লাগল।
উত্তরমুছুন