গুচ্ছ কবিতা : অনুপ মণ্ডল

 




অনুপ মণ্ডল


সেই সব চোখ না ফোটা ইঁদুর ছানাদের জন্য 


নিজের পিঠ নিজে চুলকোতে চুলকোতে নখের কোণে যেটুকু ময়লা
তাকেই আমি আপন কাব্যের মহাজন বলে জেনে এসেছি
প্রাকারের বাইরে যে দুঃখবাদ
তাকেই মায়াবাদ বলে
তাকেই বলে পিরিতি; জলের নীচে সাদা চাঁদ ওঠে

আমার শরীর জুড়ে শুধুই গর্ত এবং বিতর্ক শুধু
কোনটা যে প্রেমের আর কোনটা যে প্রসবের বুঝিনি
কোনও গর্ত মাটি উগরে উগরে দেয় তো
কোনও গর্ত থেকে
বেরিয়ে আসে ইঁদুরের লাললাল বাচ্চারা,চোখ ফোটেনি
আমার সত্যিকারের কোনো গর্ভ নেই।

জন্মান্ধের কালো চশমার নীচে সত্যিকারের কোনও চোখ থাকে না
কোনও দিন ইঁদুর দ্যাখেনি সে
মৃত্যুও দ্যাখেনি কোনও দিন
যাবতীয় ক্রোধ ও নৃশংসতা আমি তাকেই সমর্পণ করে বসে আছি
দু মিনিট নীরবতা পালন করি সেই সব লাল লাল ইঁদুর ছানাদের জন্য




                      অগ্নিজল 

বড়ো গতিশীল তুমি!বলেছি মাটিকে।বড়ো গতিশীল তুমি!গাছকে বলছি
বড়ো গতিশীল তুমি!এবার আমি মানুষকেও বললাম
গতিশীলতা কোন পথে?গতিপথে এত কেন আলো!
আলোর ধাঁধায় হঠাৎ কেউ একজন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়
অপূর্ণ।অন্ধকার।এ পৃথিবী রহস্যময় বড়ো

নদী তুমি কি আমাদের মা হবে?রাক্ষুসি মা
অতীতের মৃত সব বাচ্চাদের দু'ফাঁক হয়ে থাকা ঠোঁটে
এক এক ফোঁটা অগ্নিজল;পারবে?দিতে পারবে তুমি?
মৃত বাছারা জেগে উঠুক আবার
আমি আমার আগুন উদ্রেক করিয়াছি মাত্র
আগুন মানে অগ্নি;অগ্নি মানে অন্তর।অন্তর মানে সন্তান
সন্তান,সে তো এক সম্ভাবনামাত্র

অপূর্ণ এই পৃথিবী!পৃথিবীই অপূর্ণ!
গড়াতে গড়াতে নিয়ে চলেছে সম্ভাবনাকে নিজ পূর্ণতার দিকে