রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য
ভৌতিক ছায়ার মতো
ঘুম জুড়িয়ে আসে প্রেমজ অভ্যাসে,
শিরোস্ত্রাণ পরে বিপন্ন সময় ভান করে
ভালো আছি ,
চুঁইয়ে নামে গরম তেল ভালো আছির গা বেয়ে,
পুড়িয়ে দেয় জুড়িয়ে যাওয়া ঘুম,
ফুঁইয়ে ফুঁইয়ে ঠাণ্ডা করি ঘুমের গায়ে
বিজিয়ে ওঠা জ্বলন্ত ফোস্কা,
অভ্যাসে অভিষেক হয় প্রেমের,
সিংহাসনে বসে আটপৌর পাট করা
সংসার,
গায়ে হলুদের দাগ মায়ার বাম চিবুকের তিলে,
বিচ্ছেদের কোলে এসে বসে হারানোর উদ্বেগ,
চুম্বনে জায়া আর মাতা, নারী শরীর ভয় পায় ভৌতিক ছায়ার মত।
পায়ে পায়ে
রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য
এখানে প্রদীপ কেন জ্বলে?
এখানে জংলাপাতা কানাঘুষা করে,
এখানে তারারা পাহারা দেয় রাতের সাজকথা,
এখানে প্রদীপ থেকে অচেনা আগুন ধরে আঁচলে,
পাশ ফিরে শোয় তামাদি হওয়া সলতে ,
এখানে পোড়া তেলের গায়ে লাগে
বাউলের গেরুয়া ছোপ,
এখানে উঠোন ছাড়িয়ে পাঁচিল
পার হয় থ্যাতলানো শিউলি_
পায়ে,পায়ে।
কার খোঁজে
মুক্তির থলে ঝুলিয়ে রেখেছি হুকে,
আসবাবের গায়ে হাত বোলায় পুরনো ভালোবাসা,
এলোমেলো ইচ্ছে হাওয়া তালসারি পার হয়ে পেস্ট্রি, ড্রিঙ্কসে বসে বলে,
অন্য কোথাও,অন্য কোনভাবে,
কি খুঁজি ? সর্বনাম? দিনদুপুরে ভবঘুরে আমি, আমার সাথে সে ,
তার সাথে আমি,
হাতড়ে বেড়াই মন কেমনের কথা,
পুকুরঘাটে আত্মহত্যা খেলার পরে,
হাতে তুলে নিই একতারা,সে ওআমি,
আমার সে কার খোঁজে পার হয়ে যায়
সর্বনামের পাহাড়!
বাহ, ভালো লাগলো। দ্বিতীয় কবিতাটির শিরোনাম বোল্ড না করায় প্রথম কবিতার ভিতরে ঢুকে গেছে।
উত্তরমুছুনখুব আনন্দ পেলাম 🙏
মুছুন'পায়ে পায়ে' এবং 'কার খোঁজে' কবিতা দুটি ভালো লাগল। শেষ কবিতায় সর্বনামের খোঁজ বিশেষত ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনখুব আনন্দ পেলাম 🙏
মুছুনভালো লাগল তিনটি লেখাই।
উত্তরমুছুনঅনেক ভালোবাসা ❤️❤️
মুছুনভাল লাগল।
উত্তরমুছুনভাল লাগল।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ 🙏। খুব আনন্দ পেলাম
উত্তরমুছুন