গুচ্ছ কবিতা : দেবব্রত রায়

 






দেবব্রত রায়


একটি মৃত্যু উপভোগ্য অন্ধকার 



একটি মৃত্যু-দৃশ্য উপভোগ করার মতো 

 অন্ধকার কখন যে নেমে এসেছিল

আসলে, হিংস্রতার কাছে আলো 
ও অন্ধকারের কোনো প্রভেদ নেই 

আসমান-জমিন ব্যাপী এরকম 
একটি আশ্চর্য প্রসেনিয়াম বোধহয়, 
কোনো গ্রহ-গ্রহান্তরেও নেই

বিড়ালের নখের আঁচড়ে 
ময়ূরের হৃৎপিণ্ড ছিন্নভিন্ন 
হতে দেখে বাঘের পাঞ্জাও 
নিথর হয়ে যায় 

একটি অন্ধকারের মধ্যে চাপা
পড়ে থাকা জীবাশ্মের
নিউক্লিয়াসে সূর্যের ডিএনএ 
লেপ্টে থাকলেই,হিম-নীরবতার মধ্যেও 
ছড়িয়ে পড়ে একটি সতেজ সকাল  




 একটি মৃত-মোহনাকাল 



সাতসকালের নিউজপেপার যেন 
অসাড় একটি নদী-গল্প। 
গভভিন চরায় কৃষিজ-ফলন এন্তার অথচ,
আপাদমস্তক মেকি ফিনিক্সজন্ম 
রামমোহন রবীন্দ্রনাথ ঈশ্বরচন্দ্র 
এমনকি,মহামতি লেনিনও 
আপাতত,ভীষণ নিস্তরঙ্গ। 
সমুদ্র-মোহনায় ছড়ানো ছেটানো 
বিয়ারের ক্যানে স্পার্মগুলি 
ক্রমশ নিমজ্জমান। কোটি-অর্বুদ 
পূর্ব পুরুষের কৃতকর্ম ধুয়ে 
আবারও মেরু-স্রোতে কবে 
নাগাদ থ্রি-জর্জেস,ভাকরা নাঙ্গালেরা 
জহ্নু-প্রাপ্ত হবে,এইসব জানতে 
চাইলে ফোল্ডেড নিউজপেপারগুলি 
জানায়,দূত অবধ্য । চুনোপুঁটি না 
ছুঁলে আত্মার মুক্তি হয়না। 
ক্লাস- স্ট্রাগলে মহান আত্মারও 
একটি দায়বদ্ধতা আছে। 
মেঘমল্লার হাওয়ায় অন্ধকার 
রঙের সমস্ত  অক্ষরগুলি 
এলোমেলো ঝরে পড়তেই 
সারস- বর্ণের নিউজপ্রিন্টগুলি 
মেরুপ্রদেশের উদ্দেশে উড়ে 
যেতে যেতে একজন শ্রমণের 
মতোই বলে গেল,জানি না 
আবার কবে দেখা হবে 





একটি মুক্তোদানাবর্ণের  আলো



একটি মুক্তোদানাবর্ণের আলো 
ভাগ্যিস আমার ভেতরে সেঁধিয়ে 
গেছিল নইলে, জীবনভর এত 
অবহেলা লাথি-ঝাঁটার 
দুরছাই-রেজিসটেনস কোন 
অ্যান্টিবায়োটিক যোগান দিত ! 
যতবারই, চড়-থাপ্পড় তির
তরোয়াল বিঁধেছে চামড়া ভেদ 
করে একেবারে পঞ্চেন্দ্রিয়ে , 
একটি শিশির রঙের সোঁদা 
গন্ধ শরীরে হাত বুলিয়ে 
গেছে আদরের ! একজন 
ফার্স্টডাউন ব্যাটসম্যান 
টেল-এন্ডে এসে  দাঁড়িয়েছে 
বিষুবরেখার উপর ! আলোগুলিও 
কি এভাবেই  ফিরে আসে 
মুক্তি না-পাওয়া অন্ধকারের মতোই   ! চারিদিকের লু-বাতাসজুড়ে 
মাত্র,একজনই মানুষ বাকীবাদ 
শুধুই,শয়তানের কীটাণুকীট ! 
****

 
****