গৌরাঙ্গ মিত্র
ঘোড়া বাজার
গোরা বাজার, বড়ো বাজার, পলটন বাজার ,
মীনা বাজার ইত্যাদি চিনলেও
ঘোড়া বাজার কোথায় অবস্থিত তা জানি না।
সোনপুর পশু মেলায় কখনও যাইনি
সেখানে পাখি থেকে হাতি সব- ই কেনা বেচা হয়।
ঘোড়া বিক্রি হওয়াও খুব স্বাভাবিক
তবু আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ব না।
ছোটবেলায় সাধুসন্ত মার্কা এক ঘোড়ার গাড়ির
মালিককে চিনতাম
লম্বা- লম্বা চুল , বড়ো বড়ো গোঁফ দাড়ি ।
আড়ালে তাকে ঘোড়ার ঠাকুর বলতাম।
সাধুজিও তো কোনো বাজার থেকে
ঘোড়াটি কিনেছে।
কে জানে কোন বাজার।
বিদ্যাসাগর - বঙ্কিম কথা
বঙ্কিম চাটুজ্জে - বিদ্যাসাগর মশায়ের ঝরনা
কলমটি পেলে কি
আরেকটি বেতাল পঞ্চবিংশতি লিখে ফেলবেন?
বিদ্যাসাগর মশায় -বঙ্কিমচন্দ্রের কলমটি পেলে কি
আরেকটি কমলাকান্তের দফতর লিখতে পারবেন?
বঙ্কিমচন্দ্র ও বিদ্যাসাগরের পারস্পরিকতার
বিষয়ে আমার সম্যক ধারণা নেই।
দুই মহারথীকে হৃদয়ের দুধারে স্ট্যাচু বানিয়ে
স্থাপন করেছি।
একদিন
একদিন জরা ব্যাধি, মৃত্যু নিয়ে আর কেউ বিচলিত হবে না।
আমাদের হাতে এসে যাবে সর্বব্যাধি নিরাময়ের মহৌষধ।
আমরা হাসতে হাসতে বলতে পারব
সার্থক জনম মা গো ----
হে পিতৃদেব সার্থক জনম আমার ।
------------
রিতা মিত্র
হিসেবের খাতা নিয়ে বসলেই
পুরোনো ওয়াদা খেলাফিগুলো উঁকি দেয় জানার ওপারে
অজুহাত খুঁজতে গিয়ে কতবার রক্তাক্ত করেছি
আঙুলের ডগা।
বিন্দু বিন্দু হলেও যা ঝরে পড়েছিল
তা তো রক্তই।
বেমৌসম নিমন্ত্রণ পেয়ে সারি দিয়ে চলে আসছে
পিঁপড়ের দল।
পরিপাটি সাজে উড়ে এসে জুড়ে বসল অনাহূত
এক মাছি।
কিছু কিছু অনাহূতরা এই ভাবেই আনন্দের
মেহফিল ভেস্তে দিয়ে আনন্দ পায়।
গৌরাঙ্গদা এই তিনটি কবিতা লেখার পরে আমাকে ফোনে শুনিয়েছিলেন। এমন কতো কবিতা শোনার স্মৃতি কানে লেগে আছে। রিতাবৌদির কবিতাও আমি শুনেছি। মুগ্ধতা সেদিনও ছিলো, আজো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
উত্তরমুছুনগৌরাঙ্গদা এই তিনটি কবিতা লেখার পরে আমাকে ফোনে শুনিয়েছিলেন। এমন কতো কবিতা শোনার স্মৃতি কানে লেগে আছে। রিতাবৌদির কবিতাও আমি শুনেছি। মুগ্ধতা সেদিনও ছিলো, আজো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
উত্তরমুছুন