১৪০০ সালের শ্রদ্ধার্ঘ্য
কবি ও গদ্যলেখক গৌতম বসু (১৯৫৫-২০২১)
---------------------------------------------------------------
কবি ও গদ্যলেখক গৌতম বসু (১৯৫৫-২০২১)
------------------------------
এই জল প্রকৃত শ্মশানবন্ধু
এই জল রামপ্রসাদ সেন
----গৌতম বসু(অন্নপূর্ণা ও শুভকাল)
আরোগ্যের পথ জনশূন্য হয়ে আসছে
একমনে হেঁটে যাঁরা এদিকপানে আসছিলেন
তাঁরা ছায়া!
----গৌতম বসু(নীলাকাশ)
এমন সুখের অনুভব এমন যে ব্যথা
এমন অশ্রুর বনে নেমে-আসা দৈব আলো
অমল সে দুঃখরাতে তুমি আত্মহারা মেঘ
এমন যে মরণকালের তরুণী, রসুল
----গৌতম বসু(বিসমিল্লা)
প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অন্নপূর্ণা ও শুভকাল' থেকেই তিনি
স্বতন্ত্র কাব্য উচ্চারণে ভাস্বর হয়ে ওঠেন। পরের
বই 'অতিশয় তৃণাঙ্কুর পথে' দশবছর বাদে প্রকাশিত
হয়। তাঁর পরবর্তী কবিতার বই 'নয়নপথগামী',
'রসাতল' (বীরেন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত), 'স্বর্ণগরুড়চূড়া'
(রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার), 'জরাবর্গ', 'সুকুমারীকে না
বলা কথা'। গৌতম বসুর কবিতাসংগ্রহ এবং
গদ্যসংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে।
কবি কালীকৃষ্ণ গুহর লেখা কবিতায় গৌতম বসুকে শ্রদ্ধা জানাই:
কালীকৃষ্ণ গুহ
গৌতম বসুর জন্য
তুমি একদিন ভাষা খুঁজে পেয়েছিলে, গৌতম
অনেক সন্তাপ আর নীরবতা পার হয়ে, ঝড়বৃষ্টি পার হয়ে
ভাষা খুঁজে পেয়েছিলে তুমি। খুঁজে পেয়েছিলে
ধুলোয় ঢাকা মানুষের জন্ম-জন্মান্তরের সংসার।
ব্যক্তি-মানুষের জীবনে ভাষার জন্ম কীভাবে হয়
এ নিয়ে অনেক ভেবেছি।
ভাবনার মধ্যে কাক ডেকে উঠেছে বারবার। একদিন
সহযাত্রীকে বলেছি, 'ভাষাও অন্ধকার হয়ে এল।'
আজ তোমার জয়ধ্বনি উঠছে, শুনতে পাই, গৌতম--
ছবি সৌজন্য: ফেসবুক
মুগ্ধতা রেখে গেল এই লেখাটি। কবি কালীকৃষ্ণ গুহ'র 'গৌতম বসুর জন্য'আমাদের বিশেষ প্রাপ্তি।
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন