গুচ্ছ কবিতা : সুবল দত্ত

 



সুবল দত্ত


এখন চাষ ছেড়ে জলের আন্দোলনে মিছিলে 
দুর্বোধ্য শ্লোগান আর  গোলাপি কুয়াশার দিকে তাড়িত দল 
এখন ওরা না সবুজে না সবুজ ওদের ভিতরে
অথচ পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মাটি খুঁড়লেই বর্ষা 
আমি ওদের উপজ বহু হাত ফেরতা অতি ক্ষুদ্র চালে 
সুকান্তের কবিতা লিখে নাম কামালাম 
কবিতার রস গন্ধ স্বাদ খিদে কিছুই পেলামনা 
ওই যে ওদের দল আমার দিকে আসছে 
আমি আরো ঘন গোলপি কুয়াশার কথা ভাবছি

ওইই... এইই... রদ্দি চামড়ায় মোড়া মানুষ 
কোথায় যাবে তুমি?
দারিদ্রসীমা জাস্ট ছুঁয়ে আছে অনেক শুকনো বীথি 
বন্ধ গেটওয়ে 
অজস্র ঘড়ির কাঁচে তোমার বিবর্ণ মুখ, 
ঘড়ির পিছনে  আন্দোলন সংসদ অধিবেশন 
এবং অর্বাচীন কাব্যপাঠ 
কথা বল কও কথা কও গেয়ে ওঠো 
 ঊর্ধ্ব মুখে শাপান্ত কর 
ফসলহীন ক্ষেত বর্ষাহীন শ্রাবণ 
কেবল আহত যৌন প্রণয় 
স্বপ্নে কাদামাটি কারখানা মল 
প্রতিটি বর্জ্য সকাল অভিশপ্ত সূর্যালোক 
এইসময় বশ্যতা শিল্প চাকর কনট্রাক্ট ফর্ম 
পুনঃপুন বশ্যতা বশ্যতা 
এর ভিতরেই তলোয়ারটা ধার দিতে হবে 

মূর্ত একটি মল ডাস্টবিনের উপর কেন মায়া?
আমি নিজেকে বুঝি না অবাধ্য আমি 
এনলিস্ট করে রাখি অনেকগুলি নগ্ন ডাস্টবিন 
নরকের উপরে মানবী চামড়া ও গোলাপের রস
ওরা বলছিল নারকীয় কিছু হতেই পারেনা 
ও সব ভাগ্যবানের ভোগ
ভাঁজ করো করতে থাকো যত করবে ততই সুবাস
ওরা বলছিল নাকে একটা সোনায় মোড়া নোজ গার্ড নিতে
আমি তাহলে গাধা জন্ম উতরে যাব 
কিন্তু ডাস্টবিন তো...আমি ইতিহাস ঘেঁটে খুব জেনেছি