গুচ্ছ কবিতা : মায়িশা তাসনিম ইসলাম

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 





স্টোররুম


দেখা হবে প্রিয়তম
        যদি প্রথম দিনের মতো আবারো
গোলাপ কাঁটাগুলো হতে ঝরাতে পারো জল!

সেদিন বসেছিলে ড্রইংরুমে
            অথচ কি ভেবেই যেনো 
                 খোঁজ করলে স্টোররুমের!
দেয়াল থেকে খসে গেলো 
                                  সমস্ত পেইন্টিং...
পেরেকগুলো নুয়ে অজ্ঞাত সেজদায়
                              ভীত চোখের মাইকিং
                          রক্ত-শবদেহে জমাটবদ্ধ যৌবন

সাজানো শোপিসগুলোর 
         নিভু নিভু নাচুনি, আল্লাদ থরথর
কংক্রিট-বাগানে
                ভূমিকম্প-মালী!
অনড় দেহগুলোয় সিমেন্ট ফুল
          
স্টোররুম থেকে ডাক
      'কে? কে?'
রিখটার স্কেল হাতে শুধু মুচকি হাসি
   
পায়ের তলে রাখা কার্পেটে
          উইজাবোর্ড গোঙানি!
               দেখাবে মৃত অশ্রুদের পৌরাণিক নয়ন
তড়িঘড়ি করে
             কার্পেটটি নিজেই মুড়লো পায়ের সীমানায়

চুমুক দিলে
      সরবতের যে গ্লাসে মাছি ভনভন
            'কে? কে?'
   ডাক আসলো আবারো
         দূর থেকে ভেসে ভেসে হুইস্কির গর্জন!!!
        
দেখা হবে প্রিয়তম
       যদি তুমি আবারো
তন্দ্রাপথে বিছিয়ে দাও রেনেঁসার এক লক্ষ চন্দ্রবিন্দু...


শেষ চুমু

দিনশেষে
  জীবনের দমবন্ধ
শেষ চুমুর প্রপাতে

হাওয়াই মিঠা সারারাত
মুখশ্রীদের ব্যর্থ--
  কিছু অতন্দ্রা
হলো কি মেঝের দাগে?

দিতে চাই রণবিদ্যা
রাতের আচমকা ভয়
হলো কি শাওয়ার বিভায়?

ডিমসিদ্ধের জীবন
        ধুয়ে যায় খোসা
           শেষ চুমুর প্রপাতে

কল্পনা করে রাখা নখের আঘাত!



অনিঃশেষের উত্থান-৩


দেখো কি শুদ্ধ প্রেম কাছে আসলে নিষিদ্ধ জলের আরাধনা শুরু
স্তব্ধতা নিভে, বিশ্বস্ত খামচিতে সরব হয় শেকড়
অমরত্বের বিষাদে মগ্ন মিসরীয় প্রেম!
পিরামিড-পদ্মফুল নিয়ে বসে থাকি অষ্টাদশী ধ্যানে...

এক লাবণ্যময় দ্বিধায়, কারফিউ আজ ওড়নার শহরে
বৃদ্ধাশ্রমের তাবিজ খুলে বেরিয়ে পড়ে যৌবন-আয়াত!
বিসর্জনের পথে ঝংকার, ফিরে আসে ধাতুর শরীর
চিরচেনা গোলাপের অর্কেস্ট্রা, নতুন পাপড়িতে পৌরাণিক সুর...

আহবানের পরম অক্ষরে বিষাদও সাজায় অর্চনার থালা
প্রিয়তম শূন্যতা গুনে যায় দুই বুকের দুরত্ব
মাটির দিকে তাকালেও বুঝি না জলজীবনের কী পরিণাম
ললাটের দরবার মেনে নিয়ে হার, অশেষের মুখপাত্র...