দুটি কবিতা : গৌতম কুমার গুপ্ত

 





গৌতম কুমার গুপ্ত


সংগ্রহনামা 

কুড়িয়ে নিলাম যা কিছু আছে
খোলামকুচি নুড়ি পাথর
গাছের পাতা পাপড়ি ছেঁড়া ফুল
আলো আঁধার উজাড় করা মাটি

কুড়িয়ে নিলাম ঠোঁটের জল
হাতের তালুয়  উদাস সময়
পায়ের নীচের দুব্বোঘাস
আকাশ নীলের সবটুকু রং

পাখি যখন মেলছে ডানা
সাতরঙা এক বৃষ্টি পথে
তোমার হাসি ছলাৎ ছলাৎ
কুড়িয়ে নিলাম হৃদমাঝারে

নাই বা পেলাম পান্না হীরে
তবু কুড়িয়ে নিলাম স্বপ্ন ধূলো
আমার রৌদ্রে তপ্ত থেকো
সত্যি হোক অসম্ভবের পথ চলা

সম্ভাবনার কাগজ ছেঁড়ায়
একটি ছবির অসংখ্য মুখ
কুড়িয়ে নিলাম টুকরো ভাষা
সঙ্গে তোমার অচল ভিন্ন ভালবাসা



ব্যতিক্রমী পাঠক্রম 

জন্মে যখন এসেছে জীবন
শিখছি আদ্যোপান্ত পরগত কিংবা ব্যক্তিগত
এভাবেই তো আসে চব্বিশটি প্রহর
দিবারাত্র চোখের আলো- আঁধার

আপন্ন বিপন্ন যাই বলো রক্তে ভেজে শ্রম
অন্নের সুগন্ধ নিরন্নের ক্লেদ কখনো
ছুঁয়ে যায় মৈত্রী কিংবা ক্রোধ 
কখনো অশ্রুপাত কখনো চাঁদ গলে
যেন জ্যোৎস্না নামে শ্রাবণ ধারায় 

কখনো বৃষ্টি নারী রৌদ্র নামের যুবক 
মুগ্ধ করে আমার আমি এই দেহকোষ
তবে জীবন শুধু নয় শিখে নেবো এবার
মৃত্যু নামক সহজ নাকি কঠিন ব্যাধি
শুকনো পাতায় জল ফিরে যায় মেঘে

আরোগ্য নয় উপশমের ভিন্ন হেতু জয় পরাজয়
শিখেই নেবো জীবন শেষের 
একটি স্মরণকালের ব্যতিক্রমী পাঠক্রম