সুবল দত্ত
১
কোনো কথাই গোপন থাকেনা
বুকের পাঁজর ছুঁয়ে রুদ্ধ ঘরের আঁধার ভেদ করে
সবুজ ও নীল আকাশ পার
তারপর কথা পবিত্র ক্ষমা কিম্বা অনুতাপ হয়ে আবার শরীরে
২
শিকড় খুলতেই আমি নিমেষ দাঁড়িয়ে ভিনদেশী
দেখা যাবে কেমন এবারে উড়ি নিষ্ফল কি নির্বাধ
কার কাছে পাতবো হাত
কার আয়নায় মুখ দেখাব কাকে
আমি যে নিজের মাটিতেই ভিনদেশী
৩
মানুষের ভিতরে থাকে অনেক মানুষ
হাতে হাতে ফিরতে থাকে নানান চেতন আবর্জনা
এ শুধু বিকার নয়,এতো নীল অবসাদ
জীবনলীলার প্রতি নিশ্চুপ জেহাদ
৪
বর্ষার জল পেয়ে ফুলগাছ খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে
ব্যর্থকাম মানুষেরা নিন্দায় মুখর
হাতে মশালা মুড়ির বাটি ঘোর বরষা
বর্ষায় গাভীদের একে অপরের গা চেটে প্রেম
বর্ষায় ফুলেরা সব শৌর্যে ঐশ্বর্যে বৃদ্ধি পায়
৫
কখনো সুগন্ধি হাই তে একরকম বমির গন্ধ পাওয়া যায়
মজুদদার জানে শস্য পচনের বাস কি, কেমনে ছড়ায়
ওষুধে অসুখ চেনো পরকালের রাজনীতি অনেক পুরোনো
গন্ধের তপস্যা করে দুর্গন্ধ ব্যবসায়ীর অভিজ্ঞান শোনো
কলমের কিই বা কাজ? বুকের ওপর বউ, ভাত ঘুম মারো
শাঁখের উচাটন ঘোষ সিঁদুর চন্দন ফুল সব পরিহারো
কোষ্ঠকাঠিন্যের রুগী বসে আছে পেট চিপে সাহিত্য বাসরে
বাইরে কটোরা নিয়ে বসে আছে অর্ধনগ্ন বুভুক্ষু হাঘরে
খুব ভালো কবিতা পড়লাম দাদা।। শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা
উত্তরমুছুন