গুচ্ছ কবিতা
---------------
অতনু ভট্টাচার্য
------------------
চোখ
লিখতে লিখতে দেখি—
কাঁথা বা শাড়ির মতো নমনীয় ।
লিখতে লিখতে দেখি—
সরা-ঘট-কুলো-হাঁড়ি-কলসির মতো উচ্চাবচ ।
লিখতে লিখতে দেখি—
অফলপ্রসূ শ্রম, লিখনাদর্শটি— একা !
২
দৃশ্যাদৃশ্য ২
তোমাদের কমপ্লেক্সের পাশে
আধভাঙা ঝুপড়িতে
চাঁদ হাসে !
#
তোমাদের কমপ্লেক্সের নিচে
পৃথিবীটা চাপা পড়ে আছে !
৩
নিরস্ত্র
আমুদে সন্ধ্যায় অচল
তাকে আমি বর্ম দিতে ভুলে গেছি
বলে, এরকম তাচ্ছিল্য কোর না …
আমি কিন্তু জানি শব্দ ব্যবহার,
ক্ষমা, করুণাও জানি
তারপর, শব্দ শলাকারা ছোটে
আকাশ আঁধার …
ফেরানো যাবে না তুমি তা জানোই !
৪
আড়াল
মনে আছে তো সেবার সেই কুমিরমারিতে
তারপর সেই মারীচঝাঁপির
অশ্রুরেখাটির দিকে চেয়ে
চোখের জোয়ার মুছে
গ্রুপফটো হাসি চায় বলে
তুমি হেসেছিলে—
অ্যালবামে ধরা আছে ব্যথাধৌত
সেই হাসি !
৫
আলোকপাত
এক চোর আরেক চোর কে চোর বলছে
এক দালাল অন্য দালালকে দালাল বলছে
এক অসহিষ্ণু অপরকে অসহিষ্ণু বলছে
এক বদ অন্যকে বদ বলছে
এক লোভী আরেক জনকে লোভী বলছে
এই হল জগৎচিত্র
নিজের সৎ সংকল্পে থাকা মানুষ কি নেই ?
--দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়
কারা যেন সেই দূরবীনের কাচ ঘষে দিচ্ছে
খুব ভালো
উত্তরমুছুন