মেরুদণ্ডে পুরাতন ল্যাবেঞ্চুসের স্বাদ
অভিজিৎ দাসকর্মকার
____আর কোনো উচ্ছৃঙ্খল পৃষ্ঠপোষকতা থাকছে না;
গভীরতা এবং উদারতা হারিয়েছে বহমান শ্রাবণী নদী,নতুন দেয়ালে
নতুন সিলেবাস পালটে নিয়েছে আঁচল খোলা জানালা,
ভার্চ্যুয়াল পথের খেয়ালি আলাপে কার্বন পড়েছে, ভীত
আমার ভৌত পরিবর্তনগুলো,
রোজ রোজ বিছানা আর ঘুমের মাঝে ছাড়া-ছাড়া ভাব, মেরুদণ্ডে
পুরাতন ল্যাবেঞ্চুসের স্বাদ শুষ্ক বরফে পরিনত হয়ে যাচ্ছে, আশা নেই,
যাওয়া-আসা নেই, রিজনিংগুলো অবান্তর যতিচিহ্ন লাগছে
এখন বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিট ব্যস্ততার অজুহাতে সত্যবাদী হয়ে পড়েছে,কারণ
ভালোবাসা দামী অন্তর-বাসের ফিটিংস ছেড়ে আগল খুলেছে, আর
মিথ্যেগুলো তোমার সিঁদুরখেলার ছবি থেকে বিষ্ণুপুর আসার পথ ধরেছে
আমি আনুগত্যে শরীর রুয়েছি দ্রাবীড় বহমানতার চূড়ান্ত পাড় ধরে...
স্বপ্নের দোষগুচ্ছ
ফিরে এসো প্রকাশক, আমার আওয়ারা মনের ভিতর উদ্ভিদের আচরণ গুপ্তবীজী
এখনো অভিনয় করে আবহাওয়া, কৃষ্ণসার বিকেলে
কোনো কোনো দিন বদভ্যাসগত চশমা নামিয়ে শরীরের পরিশ্রমে মন দিই, শামুকের খোলা
খুলে ফেলি আপনাদের লেখা স্বপ্নের দোষগুচ্ছ,আজ
বাজারের সুখে ইন্দ্রিয়ের সাপ আর লুডো
আগেরদিনের ফর্ম ভাঙে
বেনিয়াটোলা লেন ভাঙে
শব্দবিন্যাসে লেগে থাকা বাসি কার্বণ, মৌলবাদে ভাঙে, তবুও
মাঝেমধ্যে হাঁ-কোরে হ্যাঁংলা জন্মদরজা দিয়ে ত্রিবেণী জল গড়িয়ে আসে,তাকে
ক্যাটায়নের সন্ন্যাসীপনা ভাবতেও তিতিবিরক্ত লাগে, সবই-তো
ত্রিকোণমিতিতে বেঁধেছি,এসো
প্রকাশক আমার পরিমিতির ন্যাকামিগুলো কলারবোনের পিছনে জ্বলজ্বল করে ছাপিয়ে দাও...
এলোকেশী রাস্তা ধরে হাঁটছি
আমার নামের মধ্যে ঢুকে পড়েছে রংরুটের মিনিবাস,তাই
লোকাল ম্যাপের সারা ক্ষেত্রফলজুড়ে ইকোলজিচর্চা,আর অক্ষরে
গণতন্ত্র বিকার ভাঙছে
গাঢ় ময়লা রং ধরেছে মিলন প্রয়াসী মৌমাছিদের,ব্যাজারমুখে
শরীরের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেছি,তার ভিতর
কেঁদেছি, চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়েছি ছানা কবিতার স্তবকদের,মাইরি বলছি স্বাদ অনুযায়ী একটি কবিতাও আমার চোখের সামনে পয়সার সাথে সম্পর্ক করেনি,কিংবা
বালুকা-বিচের তীব্র উপুড় মার্জিনে সেমি-ন্যুড শোয়নি, অথবা
বেনজ্-এ করে পেটের ভিতর পুরাতন রুট বদল করে নি,অথচ
এ্যাতো আমোদ, তবুও
মোমরংগুলো নিয়ে কিচ্ছু ভাবিনি
শুখের ঘোরে ব্যাগের ভিতর দু'কদম চললেই মেঝে আর ছাদ, আর এর মাঝে কোনো অজুহাত নেই, তাই
সাপ্তাহিক পত্রপাঠ করা হয়না,
খুব দুশ্চিন্তা প্যারাকনসাস হয়ে পড়েছে
তিনমাত্রা ভাঙা বয়েলের সূত্র,এবং
টুটা ফুটা ঠোঁটের কোনায় অসুখের পরিবর্তন, এখন
চলো
রাত গ্যায়ি বাত গ্যায়ি, আমিও কালটি দিলাম, আর
গোটানো মশারির বাইরের এপাড়ে টরিসেলির শূন্যস্থান, ওপাড়ে টোলট্যাক্স পেরিয়ে কালকের বৃষ্টির ঝাঁপিয়ে পড়া, আমি
স্বপ্নের বিভোরে এলোকেশী রাস্তা ধরে হাঁটছি আর ডিমান্ড বাড়ছে
অভিজিৎ দাসকর্মকারের কবিতা অন্যরকম সুন্দর। নিজস্ব একটি কাব্যভাষা নির্মাণের এই প্রয়াসকে কুর্ণিশ জানাই।
উত্তরমুছুনবেশ সাবলীল। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনবেশ সাবলীল। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনদারুণ কবিতা!
উত্তরমুছুনদারুণ কবিতা!
উত্তরমুছুনস্বপ্নের আণবিক স্নেহ কিছু ডিমান্ডের ডিম ও অন্ডের সম্পর্ক ভেঙে দেখছে।
উত্তরমুছুন