গুচ্ছ কবিতা : সৌম্য ঘোষ


 




সৌম্য ঘোষ


অশাস্ত্রীয়
    
নাহয় কিছুটা অশাস্ত্রীয় থাক নদীজল/
পায়ে হাঁটা অহিপথ অ-সরল আঁকাবাঁকা,/
শ্রাবণ আকাশ হোক আয়োজনহীন
অ-পুষ্প তৃণরা থাক অ-বাহার।
কিছু কথা এলোমেলো হোক-
কিছুকাল অথবা চিরকাল।
কিছুটা নির্বিত্ত থাক সম্ভাষণ গহনাবিহীন/



বড়ো বেশি স্বচ্ছ জলে বড়ো বেশি
আত্মকথা রটে;



তারচে' বরং অন্ধকার মলিন 
নদীপাড়ে/
জল ছোঁয়া অনেক তদ্গত।



কিছুটা গরীব থাক অন্তরীক্ষ। নিরক্ষর লগ্ন।
_______________________________

         

বীজ 
         
নাভীর মধ্যে অনন্ত মোহমন্ত্র,
সঙ্গে আমি।
প্রতিক্ষণে জেগে ওঠে স্মৃতি ও বিভ্রম
জেগে ওঠে জ্যোতির্ময় অক্ষরবৃত্ত ফাল্গুন পূর্ণিমার রাতে,
ছিলো কিছু গূঢ় শব্দ, আর আরো কিছু গূঢ় অর্থ
ঐসব মর্মলিপি, অলৌকিক ভাষা
সঞ্চয় করে রাখি
কোন এক অমোঘ মঞ্চে
কাঁদতে পারি ভেবে ...

কে যে চলে যায় নাভীমূল ছেড়ে
আগুন নিভে যাওয়ার পর!
_______________________________



বাড়ী ফেরার পথ

বাড়ি ফেরার পথে শুয়ে থাকে
গৃহকাতর রোদ,
শেষ বিকেলের রোদ নিস্তরঙ্গ হলে
নিঃসঙ্গ নদীর কাছে শোনা যায়
নিখিলের স্বর,
কোথাও একটা রোদ পড়ে থাকে
মায়ের মুখের মতো।
করতলে সন্ধ্যাতারার ছায়া,
ধূসর বাড়িতেও জ্বলে ওঠে আলো
উদ্বিগ্ন দরোজা কিম্বা জানলা খুলে
শিশুর চোখ


কারো কারো
বাড়ি ফেরার পথের মতো চেনাপথ
থাকেই না।

_______________________________