দুটি কবিতা : সুবল দত্ত

 





সুবল দত্ত


অচেনা পথ ও ঘুমের আবেশ

ও মেয়ে এখন আর স্বপ্নে এসো না

অবচেতনায় এই আমি যৌনতা পুড়িয়ে ফেললাম

হায় আমার অজানা ইচ্ছে আর দেহ ঘড়ি

এজন্মের মতো আর যৌনতায় দৃঢ় হবো না 

ও মেয়ে তোমায় এবার মা বরে নিতে ভীষণ ইচ্ছে করে

তুমি ঝুমঝুম নুপুর পায়ে পায়ে আমার বদ্ধ উদোম আগুন ঘরে এলে

আমার মহাজাগতিক অংক কষতে ইচ্ছে করবে

এবার শরীরে প্রাণীজ আগুন নয়

আমি সত্যি সত্যি খাওয়া পরা যৌনতা ও শূন্যতা ভুলেছি  

 


কেন যে কলসী ভরে দিলে তুমি চেয়ে দেখ কেউ বেঁচে নেই

ঘাসে আলজিভ মোহে পড়ে আছে তাই বুঝি জল প্রয়োজন?

কাহিনী এখানে শেষ হয়ে গেল থামো সীমানায় খর চপার

কুচিকুচি মেঘ ঘেয়ো রাজনীতি এখনো দলিলে মাটি মায়া?

 

নিজ কাঁথা ছেড়ে নদী ভুলে এলে জুয়াতে কামিনী কাঞ্চন

যে যাই বলুক পেটে ভয় পায়ে গ্রিজ তেল প্রাণ অসফল

বন্ধুর কাছে সুতো জমা আছে দিনগত পাপ বেড়ে চলা 

কে দেয় ভিটেয় পুষ্পাঞ্জলি লুণ্ঠনচেতা সাঁঝ প্রদীপ

 

মাড়িয়ে শরত্‍ ভিন্ন গালিচা কোথায় যে পেতে বসবে    

জ্যোত্স্নাতে কেন মাখালে আতর আমিও ঈশ্বর ভুললাম          

ইতিহাস বড় ফাঁপানো বেলুন উড়ছে কাগজ পুড়ছে

শ্মশানের কোনো ভবিষ্যতে তুমি আমি কেক কাটছি

 

আমার হয়েছে বড় জ্বালা বলো কাকে রেখে ভুলি নিজেকে

তুমি জানো কোন ছিদ্রে ঢালবে মহাজাগতিক মিথ্যা