গুচ্ছ কবিতা : দেবযানী বসু

 






দেবযানী বসু



১. 
কথার খেলাপে ময়ূর কলাপের মদত ছিল। কাশতৃণের মাসে গলা অব্দি জলে ধ্যান করেছি। লঘিমা শক্তি বাঁচিয়ে রেখেছে। সার্কাসপরী ভেবে সবাই ভুল করে। বাক্য দল কেঁচোর চরণ ছুঁয়ে চলেছে। মাইল ফলক বলছে সব শিক্ষা বৃথা। শিক্ষা সব চামড়া শুকানোর নুন। নুনোপমা অলীক মিথ। র্যাপগানে gun এল গান দখলে। ধানের দুধে রক্ত মেশে আমাদের দেশে। এরপরই থার্মোলুমিসেন্স পরীক্ষায় ক্লোন করা সীতাদের সতীত্ব যাচাই চলে। 

২. 
বিষাদে ভাঙছে আলো দিয়ে আঁকা অশরীরীরা। পারিজাত লেবেল সাঁটানো পিঠ। কোথাও ভাবালু  হায়নার সৌম্য নেত্র পথবাতিরা দু হাত পেতে নেয়। দুর্ঘটনার ঘূর্ণি থাকে ঘা থাকে ঘড়ি থাকে। ঝিলদানবের বাড়ি সাধারণ ইঁটে বানানো। দু একটা গল্পের লেজে জোনাকি লাগানো। বহুদিন না হাসার ফলে নিজের নতুন কলম কুবো পাখি। ডাকে জলদগম্ভীর। অতিনাটকীয়তার ধুনি জ্বেলে  নতুন বন্ধুরাও কুবো পাখি। এখন হৃদয়ে  দক্ষিণ ও বাম নিলয় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রাখে। 

৩. 
পালিয়ে যাবার গায়ে ঝুপসি শিকড় গজালো। বেণীমাধবের বাড়িতে গাড়ি বারান্দা  আছে, গাড়ি নেই। সোনিয়া নামের মৎস্যকন্যা জানলার ডেস্কটপের ভিতর। ডাকলেও দেখা মেলে না। একটা যুগ প্রিয়তমাসু খেলনা বাটি খেলে পড়শী পাড়ায়। দরকারী কথা আর বলা হয় না। বাড়ি পালানো মনের উপর কাশফুল চর আর বটের শকুন। যাদু খেলে ইংরেজি শব্দরা তুলনামূলক ঘরবাড়ির সঙ্গে বাড়িবদল খেলে। শাপলা নামের চোখ হারিয়ে

8
পালিয়ে যাবার গায়ে ঝুপসি শিকড় গজালো। বেণীমাধবের বাড়িতে গাড়ি বারান্দা  আছে, গাড়ি নেই। সোনিয়া নামের মৎস্যকন্যা জানলার ডেস্কটপের ভিতর। ডাকলেও দেখা মেলে না। একটা যুগ প্রিয়তমাসু খেলনা বাটি খেলে পড়শী পাড়ায়। দরকারী কথা আর বলা হয় না। বাড়ি পালানো মনের উপর কাশফুল চর আর বটের শকুন। যাদু খেলে ইংরেজি শব্দরা তুলনামূলক ঘরবাড়ির সঙ্গে বাড়িবদল খেলে। শাপলা নামের চোখ হারিয়ে শাপলা নামের নাভি মিলে যায়।