শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
বিষহরি
আমাকে আকাশ বলে, এস তুমি ডানার মেয়েটি
বিরহ-প্রাকারে বসে অলখ আলোর গান গেও
যে স্নান শিখেছে, জল বারে বারে তারই কাছে যাবে
তারই দেহ-সরগম চিনে নেওয়া যে জলের প্রিয়
চেনা শরীরের গান, তোমাকে লিখেছি ফুলদলে
যারা পড়ে তাদের বাথানে তুমি ছন্দ উপজিও
ভীরু হরিণীঠমক, অশ্রুত যে ছন্দগুলি চলে
লিখেছি তাদের ছায়া সন্ধ্যাস্নাত বাকলের গায়ে
বাঁশের চালাটি জুড়ে রোদ বসে, পোড়ে কার চোখ
আমিও তো পুড়ে যাই তার আগুনের নিশানায়
পেঁপে গাছের উপরে সদ্যমৃতা জননীর হাত
আছে যা, অথচ নেই, প্লুতস্বরটুকু শোনা যায়
কবেকার কুবোপাখি ডাক দেয় পাশের বাগানে
পাখিটি থাকে না, তার ডাক থাকে, হাওয়া পরিযায়ী
এলোমেলো লিখে যাওয়া, এলোমেলো জীবন দর্শন
যা দেখাও, তাই লিখি। আমাকে দেখাও মনোহর
দেখাও বিষাদে কাটা ফেনা উঠে যাওয়া কত মুখ
আমি বিষ হরি বসে অলীক নদীর কিনারায়
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন