গুচ্ছ কবিতা : নিমাই চাঁদ জানা

 




নিমাই চাঁদ জানা



সন্ন্যাসের প্রচ্ছদ কথা

বোধি প্রচ্ছদের কথা বলতেই পায়াসান্ন খাইয়ে দিল সুজাতা
কাক বাসা বদল করলে , ছেঁড়া সুতো আর নিজের রক্তাক্ত নাড়ি বের করে দেখি সন্ন্যাসের মত
নির্জন দ্বীপে নিজ আত্মার নির্বাসন খুঁজি বারংবার
বীজের সুপ্ত আগুনকে নিজের বীর্যরেণুর সাথে উড়িয়ে দিই আকাশে
পেঁচানো রাইবোজোম প্রশ্ন করে আমার বংশ পরিচয় নিয়ে, আমার ঠোঁট এতো কালো কেন ?
আমি আসলে কয়লার হিমোফিলিক জীবাশ্ম অনেকদিন পর পাখিদের সাথে স্নান করে বিছানা বদল করছি অনেক তাড়াতাড়ি
পোড়া উনুনের ধারে কোনো চিত্রকার হয়ে যাচ্ছি নিজের রঙ তুলিতে
পালকেরা বড় সংযমী এখন



বিবর্ণ এন্টিবায়োটিক


রাত্রি রঙে ক্রমশ বিবর্ণ দেখায় আমার অংক খাতার পৃষ্ঠাগুলি
সমস্ত ক্ষত মুখ বিবস্ত্র করেছি অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে
দগদগে ঘা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে মেঠো কাদা রাস্তার অনুর্বর জমিতে
সম্পর্ক ছিন্ন করছি মুথা ঘাসের পরাশ্রয়ী মূল অথবা,  আগাছার মত বেড়ে ওঠা অহেতুক যৌবন
নিরাভরণ হয়ে যায় বুনোহাঁস , মেঘের মতো
স্নান সেরে নেয় কচুরিপানার ঝোপে
বিষাক্ত পুরুষ জানে যে রাতের মৈথুনকালে বৃষ্টি হয়ে ছিল ঠোঁটের উপর
সেই রাতে লোমকূপের গোড়ায় ঘোড়ারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সুপুরি ডাঁটার মতো
তাদের চলার শক্তি ছিল না
তারা জড় অথচ বেগবান নিজের ভেতর ফুটে ওঠা ফুলের ভেতর



ব্রাহ্ম পুরুষ

লাল ফুলেদের গলায় ধারালো ব্লেড ছিল গতকাল
স্পন্দনহীন কপালে রক্তচন্দনের টিপ আবারো জন্মদিন নিয়ে এলো
হাঁটু মুড়ে বসে থাকে কেউ বিছানার গোড়ায় কেউতো মৃত নয় , কারোরই মৃত্যু তারিখ ছিল না মৃত্যুবার্ষিকী সেরে নিচ্ছে একা জুপিটারের চৈতন্য
আঙ্গুলগুলো উড়ে যাচ্ছে মহাকালের দিকে, কড়ে আঙ্গুলের কোনায় বড় ছত্রাক চিহ্ন
নীল পাখি শিবলিঙ্গের মাথায় নিজের মুখ ঢেকে রাখে হালকা কাপড়ে
পেটের ভেতর থেকে একটি উদ্ভট শিশু বেরিয়ে এসে আঙুল চুষে খাচ্ছে ধানি জমির কেঁচো
শিশুটি আজন্মকাল উলঙ্গ আছে
নরম ব্রহ্মতালুতে ঈশ্বর এইমাত্র দুধেল প্যাগোডা বানালেন