সম্পাদকীয় : ১৪০০ সাল পত্রিকা ফাল্গুন / চৈত্র সংখ্যা

 





সম্পাদকীয়
----------------

ফাল্গুন এল নীরবতার মধ্য দিয়ে। কখনও কখনও মৃত্য বড়ো তীব্র হয়ে ওঠে। একের পর এক মৃত্যু
স্তব্ধ করে দিয়েছে আমাদের। পণ্ডিত বিরজু মহারাজ লতা মঙ্গেশকরকে হারিয়েছি আমরা।
ফাল্গুনে চলে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাপ্পি লাহিড়ী শাঁওলি মিত্র সুরজিৎ সেনগুপ্ত শেন ওয়ার্ন।
বেদনায় ডুবে যেতে যেতে মনে হচ্ছে সামনে এক অনন্ত নদী। পারাপারের খেয়া নেই। অবগাহনের
সাহস নেই। শুধু তাকিয়ে দেখা। এঁদের মৃত্যু বসন্তের দিনগুলি থেকে সমারোহ কেড়ে নিয়েছে,
এ কথা অনস্বীকার্য। তবু স্থির শান্ত থাকতে হচ্ছে।

পত্রিকার স্বল্প পরিসরে প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হল না। কয়েকজনকে স্মরণ করলাম।
আগামী বেশ কিছু সংখ্যায় আমরা অবশ্যই অন্যদের স্মরণ করব।

বইমেলা এবার দেরি করে শুরু হওয়ায় শেষও হল প্রায় বসন্তের মাঝামাঝি। 'ময়ূখ' পত্রিকা সম্পাদনা
ও প্রকাশ, 'নির্বাচিত ১৪০০ সাল' পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ, বাবা, অজয় দাশগুপ্তের একমাত্র
কিশোর রূপকথা 'নীলপাখি'র দ্বিতীয় মুদ্রণ এবং ১৪০০ সালের সামান্য শ্রদ্ধার্ঘ্য 'প্রভাত সরণি'
প্রকাশে পরিশ্রম অধ্যবসায় এ সবের মুখোমুখি হওয়া গেল বহুদিন পর। খাটুনি উদ্বেগ দুই যেমন
ছিল, আনন্দও ছিল। আনন্দে হয়তো গুনগুন করেছি, 'মধুমালতী ডাকে আয়/ ফুল ফাগুনের এ খেলায়'...বিষাদ কেটে গিয়ে বসন্তের সব সৌন্দর্য ফুটে উঠছে ক্রমশ...

১৪০০ সালের পক্ষ থেকে লেখক পাঠক প্রত্যেককে দোলের শুভকামনা জানাই।


উপরে উল্লিখিত চারটি বই পাওয়া যাবে অন্নপূর্ণা প্রকাশনী, ৩৬ কলেজ রো'তে। এছাড়া ১৪০০ সাল
এবং ময়ূখের দপ্তর: শ্রীরাম অ্যাপার্টমেন্ট, চতুর্থ তল, ২৬সি ডিপিপি রোড, নাকতলা,
কলকাতা-৪৭। 'পাতিরাম'-এ খোঁজ নিয়ে দেখুন আগ্রহী বন্ধুরা।