সিক্তা গোস্বামী
প্রতীক্ষা
আজ ফোনটা আসবে। মনটা তাই অস্থির। প্রতীক্ষায় কাটছে সময়। কবেকার কথা। ছেলেবেলার এক্কা দোক্কা ঘর। বিষণ্ণ বিকেলে হালকা হাতে হাত। গ্যাঙর গ্যাং পড়ার আওয়াজ। হ্যারিকেনের কালি পড়া চিমনি। বিধু মাস্টারের হাতের ছড়ি।
এই ফোনটাই ফিরিয়ে দিয়েছে বেণী দোলানো বয়সের সঙ্গে যোগাযোগ। ভিটে আঁকড়ে পড়ে থেকে সব হারিয়েছে একদিন। আবার বোধহয় একটু একটু করে ভরে উঠছে জীবন। সেও এই ফোনের জন্য। ফোনটা আজ অবশ্যই আসবে।
সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফোনটা দৃষ্টি কাড়ে। এখনো তো এলো না। প্রতীক্ষারও একটা ক্লান্তি আছে। তবে কি চিন্তায় ভুল? একটু একটু করে মনটা গুটিয়ে যাচ্ছে।
স্মৃতি কি প্রতারক? আকাঙ্ক্ষা কি অন্যায়? ভাবনা কি অমূলক? চোখের পাতায় কুয়াশা ভোর ।
অবশেষে বাজল ফোনটা। জড়তা কাটাতে সময় লাগল। ..হ্যালো... হ্যালো ও ও .... হ্যাল্লো.... আঃ! কিচ্ছু শোনা যাচ্ছে না। হ্যালো ... ইস টাওয়ারে গন্ডগোল মনে হচ্ছে... হ্যালো....
"আজ ফোনটা আসবে"- আগে থেকে জানাই প্রতীক্ষা। প্রতীকী। আসলে অপেক্ষা। সেই বেনী
উত্তরমুছুনদোলানো বয়সের স্মৃতি। একটাই ছাতার তলায় একই বৃষ্টির হাজারো সুর শোনার অধীর অপেক্ষা।
আর যত দেরি, ততই অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে। সুন্দর। শুভকামনা।
খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুনসুন্দরের প্রতীক্ষায় জীবন বয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয় শবরীর প্রতীক্ষায়।
উত্তরমুছুন