দুটি কবিতা : অনুপ মণ্ডল

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন





 




অনুপ মণ্ডল


আয়না 

লাফিয়ে পার হই ফাটলের যতিচিহ্ন;কখনও বা ওড়াউড়ি
প্ররোচিত ডানা থেকে
ঝরে পড়ে কবরের প্রাচীনতম সুখ ও বিনীত ফসল
বাতাসকে হেনস্থা না করেই প্রক্ষালন করি
মুখ পরাঙ্মুখ;পদধূলিও ধুসরিত হয়
হাতের কারুণ্য থেকে দুবেলা জল গলে গলে পড়ে
তোমার অন্ধ হাতের বারংবার পেলবতা
পাথর হতে থাকা আমিকে মসৃণ করে তুলেছে

গুহার দেয়ালে আবিষ্কার করি পুরুষ বিভাব
শিকারে যেতে অপারগ পোয়াতি নারী
দু'পায়ের ফাঁকে রাখে প্রাথমিক আগুন;পোড়া কাঠকয়লায়
একের পর এক এঁকে চলে ম্যামথ শিকার
সুষুম্না বরাবর প্রসবজনিত ধুন বেজে চলেছে তখনও

বিনীত বিশ্বাসে রক্তমাখা হাতমোজা আমি লুকিয়ে ফেললাম


                  ঘোটকী বৃত্তান্ত 

সান্ধ্য রসিকতায় মেয়েটি শীতকালীন খৈজুরী ওম;সঙ্গে
গত জন্মের ফ্লপ হওয়া অশ্বমেধের ডকুমেন্টারি
জমাট বাঁধছে আলো নির্ভর বিদর্ভ বরফ

কুকুরের ক্ষীণ চিৎকার ভেসে আসছে তখনও
শোনা যাচ্ছে শোধনকামী তুলোবীজের মতো
রোমহর্ষ গুঞ্জন
ফ্লাশ বাল্ব জ্বলে ওঠার আশনাইতে
ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই মেয়েটি সমকামী হল
হেঁটে হেঁটে দিব্যি ভেদ করে গেল
অন্ধকার সেই বরফের উলঙ্গপনা শরীর

ও পিঠে তখন সকাল
সাদা পাথরের তৈরি ঘোটকীর ঘর্মাক্ত ইমারত
সৈকতে এলিয়ে পড়া সমুদ্রের ক্লান্ত কোলাহলে
একটা বেড়ালছানা শুধু মরে পড়ে আছে
বেআদব কুকুরের ডাক আমরা কেউ আর শুনতে পাইনি