জয়শ্রী সরকার
মন চলো নিজ নিকেতনে
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ----- ডুমুরের ফুল হতে ,
ইচ্ছে করে--- নিজস্ব লোকালয় থেকে দূরে থেকে
পরিচিত জগৎটার নিটোল একটা জলছবি আঁকতে ,
যেখানে ----- স্বরচিত ভূগোলটা অন্য কথা বলে !
বিরক্তি আর বিতৃষ্ণা জাগে না যেখানে ,
থাকে শুধু চিন্তনের অনায়াস পদসঞ্চার !
আবছা করে দিতে ইচ্ছে করে স্মৃতিপটটাকে ;
মন চায় ---- জার-জর্জর শীতে উদোম ছেলেটার মতো
রোদ্দুর ধ'রতে ।
ইচ্ছে করে , কান পেতে শুনি -----
শিশির-ভেজা ঘাসেদের নৈঃশব্দ্যকথন ;
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে সেখানে -----
যেখানে ফুল-শিশু আর গানেরা হাতে হাত ধ'রে
রূপকথার স্বর্গ রচনা করে !
স্বাবলম্বন
এখন আত্মশ্লাঘা নয় , আত্মবিশ্লেষণের সময় এসেছে ,
সত্যি কথা বলি , যথা-অর্থে এখনও বোধহয়
কোনো সন্তানের জননী হতে পারিনি ।
ছল-চাতুরির দুঃশাসন নয় ------
মননের গভীর থেকে বোধের শব্দগুলো
খুঁটে-খুঁটে খুঁটে-খুঁটে খুঁটে-খুঁটে ......
নতুন এক ব্রহ্মাণ্ড রচনা করতে চাই ।
সত্যি যদি শুভাকাঙ্ক্ষী হও -----
বিবর্ণ হলেও একটা বর্ণপরিচয় দিয়ো ,
একটা সহজ পাঠ , একটা কিশলয় ,
সঙ্গে শিশু ভোলানাথ !
ন হন্যতে
স্রষ্টার মৃত্যু নেই----তুমি কবি , অমৃতের পুত্র তুমি ;
অক্ষরবীজ ঘেঁটে ঘেঁটে --- শব্দ ছেঁকে নিয়ে
গড়ে তোলো পদ-পংক্তিমালা ,
বাক্য আর বোধির ইমারত !
শব্দের সমারাঙ্গনে তুমিও নির্ভীক সৈনিক , মৃত্যুঞ্জয়ী !
জীবন যেন বহতা নদী ---- সহস্র ধারায়
সমুদ্রের মতোই মহাজীবনে মিলিত হয় !
সংসার সমুদ্রকে তুমি দেখো চলন্ত ট্রেনের কামরায় ;
সময় হলেই যে যার গন্তব্যে নেমে যায় ,
চলে যায় আপন ঠিকানায় ------
যেখানে কোনো কটু কথা নেই ,
নেই কোনো কপটতা , অহমিকা ......
ক্ষণিকের বাসাবদল মাত্র ।
হে কবি , হে অগ্রদূত !
" ন হন্যতে , হন্য মানে ....... ! "
আপনার লেখা সব সময়য়ের মতোই অসাধারণ
উত্তরমুছুনতিনটি কবিতাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুন্দর এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ। খুব
উত্তরমুছুনসহজেই বোধ ও চেতনার স্তরে পাঠক পৌঁছতে পারে অনায়াস।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।