গৌতম কুমার গুপ্ত
হওয়া
আজ পর্যন্ত হয়ে ওঠা হল না আমার
হবো হবো করে দিবস গুটিয়ে নিল দিবাকর
শশাঙ্ক হারালো উজ্জ্বলতা
ফ্যাকাশে পিত্তলবর্ণে ঝুলে রইলো অভ্যাস
তোমরা সব হয়ে উঠলে একে একে
চোখের সামনে বৃক্ষ হলে
ছায়া দিলে অণুক্ষণ পত্রপুষ্পে জেগে রইলে
ডালপালা দিয়ে বাতাস দুলিয়ে দিলে
তোমাদের প্রশস্তি গাইছে পাখি অলিকুল
মঞ্জরিত হল বৃষ্টি আকাশ গরিমা পেল
গতিবান হল প্রবাহ স্রোতস্বিনী অঙ্গীকার ছুঁল
উচ্ছ্বসিত হল জোয়ার ভাটার নর্মদা
তোমরা অশ্বারোহী হলে বেগবান ঘোটকে
হ্রেষাধ্বনি ক্ষুরের উচ্চারণে মাতালে রাজপথ
ধূলোর ধূসরে বহু যোজন পিছনে আমি
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হওয়ার গল্প শুনলাম
অথচ আমার হয়ে হওয়া উঠল না আর
বৈধ অবৈধ
বৈধ যা কিছু ফিরে গেল সবুজে
গাছের পাতা অনন্ত হয়ে ঝুলে থাকল অতঃপর
চাঁদ লাফিয়ে নামল মাটিতে
অবিনশ্বর হয়ে রইল বৈধ আকাশের নীল
যা কিছু অবাধ্য অবৈধ ভঙ্গুর
ফিরে দেখল না কেউ
শুধু মুখে মুখে চর্চা হল কাহিনীর নিন্দা
অধীত বিদ্যায় থই পেল না মাটির অমরত্ব
সেই ভেবে জাগরূক আছে পৃথিবীর ভাষা
অসত্যের অমোঘে বেদনার্ত সব শুশ্রুষা
উপশমের মৃত্যু ঘিরে দু ফোঁটা লোনা জল
শাশ্বত ঘিরে চিরন্তন উপভোগ্য উৎসব
নিন্দার্হ হল ক্লেশ মিথ্যা ও প্রিয় মুখোশ
দ্যাখো পাপড়ি খুলে গেল বিরল বৈধ ফুলে
সুগন্ধের শান্তিজলে অজরা স্নান মাখা শীত
হেমন্তের বিকেলে কিছু উষ্ণতা ছড়াল পাখি
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর। প্রথম টি অসম্ভব রকমের সুন্দর। কবিকে
উত্তরমুছুনশুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। " হয়ে হওয়া উঠল না আর"। চমৎকার একটি
লাইন পেলাম।