বনশ্রী রায় দাস
মৃত্যু উপনিবেশ - এক
আর কথা নয়। ঠোঁট জেগে আছে কফিনে আধখোলা । নদীর শীতল অববাহিকায় ঝিম মেরে বসে শামুকখোল । বইমেলা পৃষ্ঠার ভাঁজে চুপচাপ
প্রত্ন খননে স্মৃতির কঙ্কাল, চোখ স্থির ।কবিতার খাতার ভিতর মথিত হয়ে উঠছে নষ্ট অতীত ।
আজ এটুকুই ।
ওদিকে মৃত পাহাড়ের স্তুপ হয়ে আছে কথাবাড়ি, শবের পচন ঘাড়ে নিয়ে গঙ্গা বয়ে যায় ,
সূর্য মাটি-ভ্রূণ ছুঁয়ে দেওয়ার আগেই।
মৃত্যু উপনিবেশ -- দুই
তোমার কাছে আমি হতে চেয়েছি শুধু তোমারই
ভালোবাসাবাড়ি , শুদ্ধতার ঋতুছয় জানে জলমাস মেঘচাঁদ।কিন্তু সে ঘরে কোথাও নেই তুমি। বিঁধে আছে কাঁটা গোলাপের ঔদ্ধত্য । যেমনটি ছিলে তেমনই আছ, আমার মৃত্যু উপনিবেশ ঘিরে ।
শ্রাবণ বিকেলের ফুসফুসে বিদ্যুতের তার জ্বেলে খুঁজেছি সারা আর্যাবর্ত, কিন্তু আমি নেই কোথাও ।
পৃথিবীটাকে কেউ পেরেক ঠুকে টাঙিয়ে দিয়েছে ঘরের অগ্নিকোণ দেওয়ালে ।
মৃত্যু উপনিবেশ --- তিন
বহুদিন গতিহীন নদীমুখে শুকিয়ে কাঠ অভিমানের চড়া। চাঁদ চলে গেল দূরে উপগ্রহ সাঁতারে।ঋতুপত্রের জমাটবাঁধা কান্না মাটি ছুঁলে শপথের ফুলে রক্তের দাগ পড়ে, মুচকি হাসেন মহাকাল, নীল অশ্রুতে নিজেই পুড়ে ছারখার।একটুখানি আগুনের জন্য লাইনে পচন দ্যাখে সহস্র শবের আকুতি।
হয়নি মহাস্নান অপেক্ষায় দীপ জ্বালেনি সন্ধ্যার মহাশ্মশান ।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন