সুজিত রেজ
সমাজতত্ত্ব
গাছকে বৃক্ষ বললে আমার মন খারাপ হয়ে যায়
তরু বললে লতা গান গায়
ঠিক সেই মুহূর্তে আশাদিদি আসে
দু'হাতে পলি প্যাকে মোড়া অঙ্কুরিত চারা
বলে, বামে জগদীশচন্দ্র দক্ষিণে বিভূতিভূষণ
পার্ক
পার্কে পার্কে আঙুরের ছেলেমেয়ে।
বিনিসুতোয় মালা গাঁথা হয় এখানে ,
ঝিঁঝিঁ ডাকার আগেই নেমে
আসে খাজুরাহোর সন্ধ্যা।
বোতলে পোরা বসন্তবৌরি শিস্ দেয় ,
চোখের পাতায় দোল খায় পিঙ্কি রঙের খোয়াব।
আলো ও আলেয়ার সখ্যলীলায় ,
বারোয়ারি দুর্গা প্রতিমার মতো মুখ বদলে-বদলে যায়।
সারাদিন চুপ থাকার পর ,
সাঁঝাল আলোয় মৌন পাহাড় কথা বলে।
কমলালেবুর খোসা ছাড়াতে গিয়ে ,
অর্ধেক রস নষ্ট করে অনামিকা।
অলীক উল্লাসে ভাঙা হয় বীজধান।
কমা-কোলন সহ্য হয় না---- দাঁড়ি দূর ছাড় !
দীপ্যমান
এতদিনে অবশ্যই তুমি সেখানে পৌঁছে গেছো?
নিশ্চয় একটা বাসযোগ্য আস্তানা খুঁজে পেয়েছ?
একটি নদী---তিনডুব---
আর কবিতার হাওয়ায় ভেসে যাওয়া সেই জানালানৌকা---
যারা অমলিন জ্যোৎস্নার দিকে ভেসে যায়, ফেরে না আর।
ভালোবাসার পাখিগুলি ডেকে ওঠে
একতারা-ভোরে।
রাতজাগা দুই চোখ চন্দ্রভুক নিশুতির মতো অন্যমনস্ক হয়ে যায় তোমার।
তখনও তুমি লিখে চলেছ শীত-গ্রীষ্মের চিঠি।
সনাতন দূরত্ব-সম্পর্কিত কথা :
দূরত্ব বিপ্রলম্ভের গৌরগৌরব যমজ বেদনা।
দূরত্ব থাকুক তোমার সঙ্গে আমার
এই চাঁদ আর এই পৃথিবীর।
শূন্যের মৃত্যু হয় পূর্ণের জন্যই।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন