পিয়াংকী
বসতবাড়ির ঘুম আর নক্ষত্ররোদ
দরজা খুলে রেখেছি 'হাট' করে। দেয়ালে ঝুলছে উদ্দেশ্যহীন শিকড়, বটগাছের পাশ দিয়ে চলে যায় যে নদীটা তার নাম আর জন্মস্থান নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারোর,অথচ সদর দুয়ার থেকে দরজা পর্যন্ত বিরাট ভিড়। আমি বাঁদিকে দাঁড়িয়ে থাকি, শুধু মানুষ দেখার এই যে প্রচণ্ডরকম উদ্দীপনা তাতেই নিজেকে বেশ অহংকারী লাগে । হয়ত এই অহং স্বাভাবিক হয়ত নয়।শুধু এটুকু জানি দরজা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলে শুধুই জল,শুধুই ভাসা ভাসা কতগুলো মুখ...
ডিসেম্বরের এই মফস্ সল, বন্ধকী আছে একশ'টা প্রেমিকপ্রেমিকা আর অসংখ্য অসংখ্য গাছ, শুকনো পাতা হলুদ চোখ। তাদের দিকে তাকিয়ে থাকি। থমকে যাবার বেলায় এরাই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল পেছনের গুপ্ত রাস্তা। সু্যোগ পেলে কয়েকফোঁটা ঘাম জমিয়ে রাখি একমাত্র তাদের জন্য। সত্যি বলতে কী আমি জানিই না ঠিক কতটা হিসেব পরিপূর্ণ হলে মানুষ, মানুষকেই দেখে কেবলমাত্র
কতকাল এই অচল, ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা। ঘুম নামে সূর্যাস্তের মত, চোখের পাতায় মরে যায় এতকালের জমানো ঘরবাড়ি গুনে রাখা রাস্তা শাপলার আঁটি অ্যাকোরিয়ামের মাছ। রাত জাগা ভোরে নাভির মধ্যে জমিয়েছিলাম যতগুলো নক্ষত্র, নক্ষত্র পতন হবার মত তারা সব ডুবে যাচ্ছে একটু একটু করে। বিগত কত জন্ম ঘুমোইনি, ঢুলে আসে চোখ। ঢলে পড়ে যাবতীয় আয়োজন। আচমকা গলা অবধি বরফ। হাত -পা অসাড়। আচমকা জেগে উঠি। তাকাই। কারণ আমার চোখ এখনও জীবিত।
ভিড় সরে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে আসছে সব।তবু আলো কই? কোথায় শরীর?
আমার মেয়ে গাইছে,"তুম পে হাম তো মরে যা রহে হ্যায়, মিটনে কি জিদ কিয়ে যা রহে হ্যায়"
বুঝি আমি আসলে ঘুমোইনি কোনদিনই শুধু ঘুমের ভান করে জোনাকি লিখে নিয়েছি গদ্যের পৃষ্ঠায়
পড়তে পড়তে বুঁদ হয়ে ছিলাম। খুব উপভোগ্য গদ্য।
উত্তরমুছুন