মুক্তগদ্য : পিয়াংকী

 







পিয়াংকী


যতিচিহ্ন আর চাঁদের আয়তন 


সেই দিনটা আস্তে আস্তে রাত হলো , জোনাকির পিঠের ওপর 
এককড় সমান সূর্য । সংসার পেতে বসা নারীর মতো আগুন 
জ্বললো রাতের আঁধারে । নিখোঁজ আস্তানায় ধাক্কা খেতে খেতে 
পঙ্গু হলো জীবন । নদীর গর্ভ থেকে জল তুলে ক্লান্তি নেমেছে 
চোখের ডার্কসার্কেলে ।  পেঁচা ততদিনে বিছিয়ে ফেলেছে 
শীতলপাটি , একটা নিখুঁত আমি । ভাসছি । ডুবছি । অর্ধনগ্ন 
দেহে আরাধ্য দেবতা জমিজরিপ করছেন মগ্ন হয়ে । 

রাত বাড়ছে , বাড়ছে চাঁদের আয়তনও অথচ ক্রমশ ছোট হচ্ছে 
বাড়ির ছাদ । ঘরের অবস্থান বিপ্রতীপে যদিও তবু সেখানে 
আটোসাঁটো হয়ে মন্ত্রীর মতো চাঁদটা খাপ খাইয়ে নিয়েছে 
নিজেকে । আকাশটা অক্ষম, সৌরদৃশ্যকে অক্ষত রাখতে 
গেলে ওকে বেচতে হতো নীল রঙ , সাক্ষী দিতে হতো 
ছায়াপথের দলিলে ! 

ভোরের দিকে এগোচ্ছে ঘড়ি , মৃতপ্রায় জীবাশ্ম ঠুকরে খাচ্ছে 
কাকের দল । জোনাকির বেচাকেনা শেষ। সূর্যকে নামিয়ে 
দিয়েছে গা থেকে । বিভ্রান্ত পথচারীর বেশে তার সর্বাঙ্গে 
কেবলই যতিচিহ্ন ।