পিয়াংকী
যতিচিহ্ন আর চাঁদের আয়তন
সেই দিনটা আস্তে আস্তে রাত হলো , জোনাকির পিঠের ওপর
এককড় সমান সূর্য । সংসার পেতে বসা নারীর মতো আগুন
জ্বললো রাতের আঁধারে । নিখোঁজ আস্তানায় ধাক্কা খেতে খেতে
পঙ্গু হলো জীবন । নদীর গর্ভ থেকে জল তুলে ক্লান্তি নেমেছে
চোখের ডার্কসার্কেলে । পেঁচা ততদিনে বিছিয়ে ফেলেছে
শীতলপাটি , একটা নিখুঁত আমি । ভাসছি । ডুবছি । অর্ধনগ্ন
দেহে আরাধ্য দেবতা জমিজরিপ করছেন মগ্ন হয়ে ।
রাত বাড়ছে , বাড়ছে চাঁদের আয়তনও অথচ ক্রমশ ছোট হচ্ছে
বাড়ির ছাদ । ঘরের অবস্থান বিপ্রতীপে যদিও তবু সেখানে
আটোসাঁটো হয়ে মন্ত্রীর মতো চাঁদটা খাপ খাইয়ে নিয়েছে
নিজেকে । আকাশটা অক্ষম, সৌরদৃশ্যকে অক্ষত রাখতে
গেলে ওকে বেচতে হতো নীল রঙ , সাক্ষী দিতে হতো
ছায়াপথের দলিলে !
ভোরের দিকে এগোচ্ছে ঘড়ি , মৃতপ্রায় জীবাশ্ম ঠুকরে খাচ্ছে
কাকের দল । জোনাকির বেচাকেনা শেষ। সূর্যকে নামিয়ে
দিয়েছে গা থেকে । বিভ্রান্ত পথচারীর বেশে তার সর্বাঙ্গে
কেবলই যতিচিহ্ন ।
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনসুন্দর...
উত্তরমুছুন