| নবরূপে≈১৪০০ সাল | | শারদীয়া সংখ্যা |
মুরারি সিংহ
ভ্যাবাচ্যাকা অপেরার নতুন যাত্রাপালা
১
এক-জন-আমি যখন কথা বলছি, তখন আরো একগুচ্ছ আমি
এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে, ফুটবল খেলছে,
পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটছে
অথবা ন্যাড়া-ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে চিৎকার করে উঠছে
ভো-কাট্টা,
এটাই তো জীবন, হে কর্ড-লাইন লোকালের গালগল্প
এটাই তো অরিজিন্যাল বেদেনির কাছে পাঠানো
আত্মসমর্পণের ভিতর
পাশবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ার মজা
২
বুঝে গেছি বুঝে গেছি বুঝে গেছি
গভীর নলকূপের ক্যানভাসে ফুটীয়ে তোলা জীবন মানে
সখি গো, কালা গো, আর ভ্রমরা গো…
বানান-ভুলের ভাঁজে ভাঁজে বয়ে যাওয়া উবুদশের মানেও
এঁড়েগোরু আর মুড়োঝাঁটা…
পলাতক কবন্ধগুলির খোঁজে ঘেঁটুফুলের এত তছনছ
যেন কোনো নষ্ট অন্ধকারে ফুটে থাকা পদযাত্রায়
বৃষ্টিভেজা লাট্টু ও লেত্তির সংলাপ
উর্বশী-মেনকাদের বশ মানানোর জন্যে
বেনোজলে ভেসে আসা শনির কবজকে
পেটপুরে ঘটি-গরম খাওয়াচ্ছি
ভ্রমণকারীর রক্ত থেকেও খামচে নিয়েছি বিস্তর রসকলি,
এখন ভেবে দেখো
ভ্যাবাচ্যাকা অপেরার নতুন যাত্রাপালার কী নাম রাখা যায়
৩
শীতলপাটি ছুঁয়ে বয়ে যাওয়া অজস্র গাধাডাকের সামনে
হাঁটু গেড়ে বসলেই
কত যে পায়ের শব্দ ছুটে আসে
আস্তাকুঁড়েয় ছুড়ে ফেলা
আধো-জাগা করোটির দিকে
অসম্পূর্ণ নিশিপদ্মের মার্কশিটে খানিক উঁকি মেরে যায়
অনেক যোগ-চিহ্ন, অনেক বদ্বীপ,
অন্তঃসত্তা নদীর গল্পে অগভীর নলকূপের অনেক বরবাদ
ও-পাড়ার মোড়ে বিশুর দোকানে
সকালবেলার চা-বিস্কুট খেতে আসে
বাঁশবনের সন্ধি-সমাসে উপচে পড়ে
ঋতু-বালিকার ইন্দ্রজাল
তুমি কি চিত্রকর, তুমি কি ভাস্কর, অথবা
তুমি কি নিশিডাকে পথ-হারানো কোনো সিনেমাওয়ালা
তাহলে মানো অথবা না মানো,
এইসব অ-সংবাদের ডালে ডালে
বিস্তর পাখি বসছে, ফুল ফুটছে, ভিড় করছে মৌমাছিরা
খুব ভালো
উত্তরমুছুন😍😍😍
উত্তরমুছুনঅনন্য
উত্তরমুছুন