স্মরণলেখ : নিয়াজুল হক

বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ /
ফেসবুক-এ শেয়ার করুন /
টুইটার-এ শেয়ার করুন

 




নিয়াজুল হক



এক সহকর্মীর মৃত্যুর খবরে আমার খুব মনখারাপ, বলে বোঝানো যাবে না। তবু প্রভাত দা-কে  নিয়ে
সামান্য ক'টি কথা লিখছি। অসংখ্য স্মৃতি, তারই কয়েকটি এখানে ব্যক্ত করব।

আমরা ষোলো-আঠারোজনের একটি লট হেলথ্ ডাইরেক্টরেটে প্রথম চাকরিতে যোগদান করলাম,
সেটা 1981-র ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ। আমার যোগদানের তারিখ ছিল 24 ফেব্রুয়ারি। আমাদের আট-দশজনের পোস্টিং হল মহাকরণের পাঁচ নম্বর ব্লকের তিনতলার কয়েকটি  ব্রাঞ্চে। রেফারেন্স সেকশনে আমাদের সাত-আটজনের পোস্টিং হল।

নতুন চাকরি পাওয়ার আনন্দে কয়েকদিন নতুন বন্ধুদের সঙ্গে খোশগল্প এবং আলাপচারিতায় কাটল। একদিন একজন ভীষণ স্মার্ট ঝকঝকে পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ বছরের যুবক আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে এলেন, পরিচয় দিয়ে জানালেন,আমার নাম প্রভাত চৌধুরী, এই ফ্লোরেই আছি। প্রথম দিন তাঁকে আমরা একজন সহকর্মী হিসেবেই জানলাম। কিন্তু আর পাঁচজন যেমন হয় তার চেয়ে একটু আলাদা ফ্লেবারের মনে হল, প্রথম আলাপেই তাঁর প্রতি আমাদের, বিশেষ করে আমার একটা আকর্ষণ তৈরি হল, মেলামেশাও শুরু হল। খুব অল্পদিনের মধ্যেই তাঁর স্নেহও টের পেলাম। যত দিন যেতে লাগল তাঁর প্রতি একটা দুর্মর আকর্ষণ তৈরি হতে লাগল। একদিন জিগ্যেস করলেন, নিয়াজুল, কোথায় থাক গো? আমি বললাম, প্রিটোরিয়া স্ট্রিটে। বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, প্রিটোরিয়া স্ট্রিট?  ওটা তো সাহেব পাড়া? সাহেব পাড়া কথাটার মর্ম উদ্ধার করতে পারলাম না। জানতে চাইলেন ওখানে ঘর কীভাবে জোগাড় হল। আমি জানালাম, মামা একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন, সেই কোম্পানি থেকেই দিয়েছে। এইভাবে টানা প্রশ্নোত্তর, গল্প ও মেলামেশা চলল কয়েক মাস। সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতম জায়গায় পৌঁছল।

তারপর অফিস থেকে বেরিয়ে প্রভাতদা-র পেছন পেছন ঘোরা শুরু করলাম। একদিন বললেন,  নিয়াজুল, চলো তোমাকে কলেজ স্ট্রিট নিয়ে যাই। হাঁটতে হাঁটতে আমরা পোদ্দার কোর্ট ডানদিকে রেখে সোজা সেন্ট্রাল এভিনিউ পেরিয়ে একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছলাম। প্রভাতদা বললেন, এই রাস্তার নাম ইডেন হসপিটাল রোড, সামনেই কলেজ স্ট্রিট। কলেজ স্ট্রিট দিয়ে যেতে যেতে বাঁদিকে হাত বাড়িয়ে বললেন, এটা মেডিকেল কলেজ। আরও একটু এগিয়ে আবার বাঁদিকে হাত বাড়িয়ে বললেন, এটা ক্যালক্যাটা ইউনিভার্সিটি। রাস্তা পেরিয়ে একটি পুকুরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললেন, এটা কলেজ স্কয়ার। একটা চেয়ারে বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম। তারপর একটা 2 নম্বর স্টেট বাসে উঠে পড়লাম আমরা। রবীন্দ্র সদনে নেমে হাত বাড়িয়ে দেখালেন, ওইটা ভিক্টোরিয়া। তারপর আমি থিয়েটার রোড ধরে মামার ফ্ল্যাটে পৌঁছলাম।
প্রভাতদা-র রসবোধ কত গভীর ছিল তাঁর সঙ্গে না মিশলে বোঝা যাবে না। খুব দ্রুত বয়সের ফারাক ঘুচিয়ে ফেলতে পারতেন, কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলাম প্রভাতদা দাদার জায়গা থেকে বন্ধুর জায়গায় চলে এসেছেন। হাসিঠাট্টা ইত্যাদি সবকিছুই চলতে লাগল। একদিন আমরা মহাকরণের সেন্ট্রাল গেট দিয়ে বেরিয়ে চার্চের সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে লালবাজারের পুলিশ অফিসের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। প্রভাতদা জিগ্যেস করলেন, নিয়াজুল, সিগারেট খাও না কি? তখনও প্রভাতদার সামনে ধূমপান শুরু করিনি, প্রভাতদা আমার চেয়ে প্রায় চোদ্দ-পনের বছরের বড়, স্বাভাবিক ভাবেই আমি খানিকটা সংকোচ বোধ করলাম, কী উত্তর দেব বুঝতে পারছিলাম না। প্রভাতদা চুপচাপ থাকা দেখে বললেন, যদি খাও বলে ফেল না, কোনও অসুবিধা নেই। শেষ পর্যন্ত স্বীকারই করে ফেললাম। তার আগেই একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, রেফারেন্স সেকশনে যোগ দেওয়ার দিন সেকশন প্রধান প্রণয় রায় আচমকা আমার হাতে একটা কিংসাইজ সিগারেট ধরিয়ে দিলেন, আমার কিন্তু কিন্তু করা দেখে বললেন, তুমি তো খাও, আমি করিডরে দেখলাম তোমাকে। নিমরাজি হয়ে সিগারেট ধরালাম প্রণয় রায়ের জ্বালানো লাইটারেই। যাইহোক প্রভাতদার সঙ্গে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলাম, বললেন, চলো বউবাজার যাব। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ধরে হাঁটতে লাগলাম। একটা জায়গায় দেখলাম গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স লেখা আছে। প্রভাতদা-কে বললাম, এখানে আমার চাকরির পরীক্ষার সিট পড়েছিল। প্রভাতদা বললেন, এই তো চিনতে পারছ। আরও খানিক হেঁটে একটা জায়গায় বাঁদিকে ঘুরে আমরা হাঁটতে লাগলাম। কিছুটা গিয়ে বলুলেন, এটা আমহার্স্ট স্ট্রিট, বাঁদিকে একটি গলির দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন এখানে সমরবিজয় ঘোষ থাকে। আর একটু গিয়ে বাঁদিকে ঘুরে প্রভাতদা বললেন, এই রাস্তাটা সূর্য সেন স্ট্রিট, মানে আমরা কলেজ স্ট্রিট এলাকায় চলে এলাম। প্রভাতদা-র রসবোধের কথা বোঝাতে এত কথা বলতে হল। হঠাৎ প্রভাতদা বললেন, নিয়াজুল, চলো তোমাকে একটু মদ খাওয়াই। আমি রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়ে বললাম, না প্রভাতদা, আমি মদ খাব না। মদ সম্বন্ধে আমি তখন পর্যন্ত খুব রক্ষণশীল, আমার হাত-পা ঠান্ডা হওয়ার উপক্রম। প্রভাতদা বুঝতে পারছেন আমি ভীষণ ভয় পেয়েছি, বললেন, চলোই না, তোমাকে খেতে হবে না, পাশে বসে থাকবে। নিমরাজি হয়ে প্রভাতদা-র পেছন পেছন গেলাম। একটা চা,পাঁউরুটি, বিস্কিটের দোকান, দোকানের সামনে লেখা ছিল ফেবারিট কেবিন। আমি খানিকটা হালকা বোধ করলাম। প্রভাতদা বললেন, এটা একটা বিখ্যাত জায়গা, এখানে শিল্প-সংস্কৃতি জগতের লোকজনরা আসেন। টেবিলের নড়বড়ে পায়া দেখে আমার বিশ্বাসই হল না। পরবর্তীতে বুঝেছিলাম  এই জায়গার মাহাত্ম্য।

ফেবারিট কেবিন থেকে বেরিয়ে কলেজ স্কয়ারের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বর্তমান আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলালের কাছাকাছি একটি বইয়ের দোকানের সামনে পৌঁছলাম। প্রভাত দা এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলেন, চণ্ডী এসেছিল? আসেননি শুনে প্রভাতদা কিছুটা হতাশ হলেন। দোকানটার নাম তিনসঙ্গী। প্রভাতদা জানালেন এটা বইয়ের দোকান নয়, একটি  পাব্লিকেশন, এবং তিনজন মিলে করেছে বলে নাম তিনসঙ্গী। এসব তখন ঠিকমতো বুঝতাম না। প্রভাতদা বললেন, চলো নিয়াজুল বাড়ি চলে যাই, আগামী রোববার তোমাকে নিয়ে চণ্ডীর বাড়ি যাব। জানতে পারলাম চণ্ডী মণ্ডল একজন গল্পকার, একসময় অমৃত পত্রিকায় লিখতেন।

যথারীতি রোববার আমি এবং প্রভাতদা রবীন্দ্র সদন থেকে বাসে চেপে শ্যামবাজারের কাছাকাছি একটা জায়গায় নেমে পড়লাম। বাঁদিকের একটি গলি দিয়ে বেশ কিছুটা হেঁটে একটি বাড়ির সামনে দাঁড়ালাম, কড়া নাড়তেই এক ভদ্রমহিলা বেরিয়ে এলেন, প্রভাতদা জিজ্ঞাসা করলেন, চণ্ডী আছে? বাড়িতে নেই শুনে প্রভাতদা ফেরার উদ্যোগ করছিলেন, ভদ্রমহিলা বললেন, আসুন না ভেতরে। আমরা ভেতরে গিয়ে বসলাম। প্রভাতদা নীচু গলায় বললেন, ইনি চণ্ডীর বউ, স্বস্তি মণ্ডল, কলকাতার বাইরে একটি কলেজে পড়ায়। প্রভাতদা দেখলাম স্বস্তি নাম ধরেই ডাকছেন। কিছুটা সময় গল্পগাছার মধ্যে কাটল। প্রভাতদা চণ্ডী মণ্ডলকে কলেজ স্ট্রিটে যাওয়ার কথা বললেন। আমরা বাড়ি ফিরে এলাম।

এইভাবে মেলামেশার মাধ্যমে প্রভাতদা-র বাড়ি যাওয়া শুরু হল আমার, মামার প্রিটোরিয়া স্ট্রিটের ফ্ল্যাট থেকে প্রভাতদা-র কালীঘাটের বাড়ি প্রায় কাছাকাছিই ছিল। কোনও ছুটির দিন দেখে প্রভাতদা-র সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোটা একটা নিয়মে দাঁড়িয়ে গেল। দিনদিন সাহিত্যজগৎ সম্বন্ধে একটা পরিষ্কার ধারণা তৈরি হতে থাকল। প্রভাতদা-র অতীত জীবন সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল হতে লাগলাম। জানতে পারলাম শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রভাতদা-র দহরমমহরমের কথাও। একসময় প্রভাতদা যে অমৃত-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাও জানলাম। প্রভাতদা এবং বউদির নামে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই উৎসর্গের কথাও জানলাম। একে একে তুষার চৌধুরী, কাননকুমার ভৌমিক প্রমুখের কথাও জানা গেল, এমনকি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের অল্প বয়সে একটি অসুখের কথাও জানা হল।  প্রভাতদা-র সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কলেজ স্ট্রিট, কফিহাউস যাওয়াটাও রুটিনে দাঁড়িয়ে গেল।

একদিন হঠাৎ নিজের লেখা তিনটে বই এনে আমাকে দিলেন। বইগুলো হল প্রভাত চৌধুরী, সতীসাবিত্রী কথা এবং দুঃখের পায়রা। একটা বইয়ের ব্যাপারে সামান্য দুঃখ প্রকাশ করলেন, প্রভাত চৌধুরী বইটা শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়ার জন্য লিখে রেখেছিলেন, আর কোনও কপি হাতের কাছে না থাকায় ওটাই পেন থ্রু করে আমার নাম লিখে দিয়েছিলেন।

আমাদের হেলথ্ ডাইরেক্টরে একটি ক্লাব ছিল, নাম আনন্দ অঙ্গন, একই নামে একটি পত্রিকাও ছিল। একটি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল একবার। আমি প্রভাতদা-র পরামর্শ অনুযায়ী একটি কবিতা জমা দিলাম। ঘটনাচক্রে আমি দ্বিতীয় হলাম, প্রথম হয়েছিলেন আমার সিনিয়র সহকর্মী শঙ্করপ্রসাদ কর। প্রভাতদা আমাকে জানালেন কবিতা হিসেবে আমারটাই প্রথম স্থানে থাকা উচিত। কিছুক্ষণের মধ্যে শঙ্করদাও জানিয়ে গেলেন, তোমারটাই ভাই প্রথম, প্রভাতদা-র সঙ্গে আমি একমত। খুব আনন্দ পেলাম। বুঝতে পারলাম প্রভাতদা-র সান্নিধ্যেই এসব। প্রভাতদা খুব অনুপ্রাণিত করলেন ধারাবাহিক কবিতা চর্চার জন্য। আমার মাথায় ইতিমধ্যে চাকরির পরীক্ষার পোকা ঢুকে পড়েছে, প্রভাতদা-র কাছে ব্যাপারটা গোপনই রাখলাম, ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। প্রথমবার সাফল্য পেলাম না, কিন্তু হতাশ হলাম না। পরে সাফল্য পেয়েছিলাম সে প্রসঙ্গ আলাদা, তবে প্রভাতদা খুশিই হয়েছিলেন।

আর একটা ঘটনার কথা বলে আমার লেখা শেষ করব। 1983 তে বিয়ে করলাম, আমার অফিসের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের আমি আমন্ত্রণ জানালাম আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আমার মনে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল, বিশেষ করে আমার গ্রামের বাড়ি একটি অজ পাড়াগাঁ হওয়ার কারণে। তাছাড়া একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেইসময়। আমি বর্ধমানের   একজন দুঃস্থ গরীব বোন টিবি রোগীকে পিজিতে ভর্তি করেছিলাম। হাতে আর পাঁচ দিন আছে অথচ তখনও আমার পোশাক তৈরি হয়নি। রোগীকে ছেড়ে বাড়িও যেতে পারছিলাম না। মহা সমস্যায় পড়লাম। প্রভাতদা-কে সমস্যার কথা জানালাম। প্রভাতদা আশ্বস্ত করলেন, কালীঘাটের চন্দ্রদা-র কাছে করিয়ে দেবেন কথা দিলেন। প্রভাতদা-র পোশাক চন্দ্রদা-ই বানাতেন। দু'দিনের মধ্যেই পোশাক রেডি হয়ে গেল দু'সেট। প্রভাতদা বললেন, পাঞ্জাবির গলাটা বড্ড সাদামাটা লাগছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতদা একটা ডিজাইন এঁকে দিলেন, বউদি সেটার উপর সুতোর কাজ করে দিলেন। রোগীর বাড়ির লোকজনদের সব ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে পরের দিন বাড়ি ফিরলাম প্রভাতদা-কে যাওয়ার বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে। সত্যি বলতে আমি একটুও বিশ্বাস করতে পারিনি। কারণ শক্তিগড় থেকে দশ কিলোমিটার আমার বাড়ি, পায়ে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই, আমি গরুর গাড়ির ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু প্রভাতদা রাজি হননি, বললেন, নিশ্চিন্ত থাকো আমরা জনাদশেক গিয়ে হাজির হব।

বউভাতের দিন সকাল থেকে প্রভাতদা-র পথ চেয়ে বসে আছি, প্রায় একটার সময়েও প্রভাতদা-র কোনও পাত্তা নেই। আমি বাধ্য হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। গ্রাম ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে গেলাম, হঠাৎ চোখে পড়ল ছ'জনের একটা দল আমাদের গ্রামের দিকেই আসছেন। কাছাকাছি হতেই আমি নিশ্চিত হলাম। দেখি সামনে গেঞ্জি গায়ে প্রভাতদা, গরমের জন্য শার্ট খুলে হাঁটছেন এবং অন্যরা প্রভাত দা-র পিছনে। প্রভাতদা ছাড়া দলে ছিল অচিন্ত্য বিশ্বাস (মলয়),অরবিন্দ ঘোষ, নিত্যগোপাল মুখোপাধ্যায়, নিশিথ বারি এবং প্রভাস সাউ।

প্রভাতদা-র প্রচেষ্টায় সেই আনন্দের কথা আজও স্মৃতির পটে জ্বলজ্বল করছে। প্রভাতদা-দের জন্য বাড়ির তৈরি খাসির মাংস খাইয়েছিলাম। আমার এক মামা রান্না করেছিলেন। প্রভাতদা দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রান্নার। প্রভাতদা-রা আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন পঞ্চাশের দশকের প্রায় সমস্ত কবিদের শ্রেষ্ঠ কবিতার দে'জ সংকলন, এবং গিরীশ চন্দ্র সেন অনূদিত বাংলা কোরান। সেসব বই আজও আমার কাছে আছে।

প্রভাতদা-কে প্রণাম জানাই।