সম্পাদকীয়
'আত্মসম্মান', তিনি বলতেন, এই শব্দের ভেতর এর অর্থ রয়েছে। তোমার আত্মসম্মান কখনই অন্যের
উপর নির্ভর করে না। ধরো, তুমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছ, একটি গাড়ি তোমার পোশাকে কাদা ছিটিয়ে
চলে গেল। তুমি কি গাড়ির গতির সঙ্গে দৌড়তে পারবে? তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে রেগে গিয়ে দুটো
কথা বলতে পার। কথা যত বেশি বলবে রাস্তার লোকজন কথা বলবে, কেউ কেউ তোমাকে দেখে
'আত্মসম্মান', তিনি বলতেন, এই শব্দের ভেতর এর অর্থ রয়েছে। তোমার আত্মসম্মান কখনই অন্যের
উপর নির্ভর করে না। ধরো, তুমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছ, একটি গাড়ি তোমার পোশাকে কাদা ছিটিয়ে
চলে গেল। তুমি কি গাড়ির গতির সঙ্গে দৌড়তে পারবে? তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে রেগে গিয়ে দুটো
কথা বলতে পার। কথা যত বেশি বলবে রাস্তার লোকজন কথা বলবে, কেউ কেউ তোমাকে দেখে
হাসবে, মজা পাবে। কোনও কথা না বলে, পোশাক যতটা সম্ভব পরিষ্কার করা যায় তাই কর। বাড়ি
কাছে হলে ফিরে এসে বদলে নাও। আমার মনে হয় কোনও কথা না বলে নীরব থাকাই উচিত। ঠিক
এভাবেই জীবনের সবক্ষেত্রে তোমার সম্মান যেন অন্যের প্রতি নির্ভরশীল না হয়। তিনি আমার বাবা
অজয় দাশগুপ্ত।
তিনি আরও বলতেন, যত কঠিন মুহূর্ত আসুক, আত্মসম্মান কীভাবে বজায় রেখে পরিস্থিতির
মোকাবিলা করবে সেও তুমি ঠিক করবে। আমরা খুব ছোট ছোট কারণে ভেবে নিই আত্মসম্মান
বোধহয় চলে গেল। অবনত হব কি না চিন্তা করে দ্বিধায় ভুগি। অবনত হলেই আত্মসম্মান চলে গেল,
এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। কিন্তু এও ঠিক, তুমি কার কাছে কতটুকু এবং কীভাবে অবনত হবে
তোমার সিদ্ধান্তের উপর তা নির্ভর করবে। যদি মনে কর অবনত হবে না, যাই ঘটুক না কেন, তবে হয়ো
না। দৃঢ় থেকো।
আষাঢ় মাস বাবার জন্মমাস। তাঁর কথা রোজ মনে পড়ে। তাঁর ছোট ছোট কথা সম্পাদকীয়তে তুলে
ধরতে ভালো লাগে।
-------------
১৪০০ সাল প্রকাশে নানা কারণে দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত।
খুব ভাল লাগল
উত্তরমুছুনবাবার কথা মনে রাখার এই নীরবতা যিনি বয়ে নিয়ে চলেছেন তাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুনসুন্দর সম্পাদকীয় উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।