পৌলোমী ভট্টাচার্য
১> * নির্জন স্বর্গ *
একবার আদর হোতে পারতে
আগুন হয়ে হাসতাম
একবার রাসে বাঁশি হোতে পারতে
প্রবাস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতাম
তোমার আঙুল ছিল আকাশের জন্য ,
ঠোঁট রেখেছিলে চাঁদের জন্য
কলঙ্কের জন্য ছিল উন্মাদ বুক
আমি তো বিষাধার মাত্র...
শুধু চোখ চেয়েছিলাম
যে চোখে ভরা থাকবে
নির্জন স্বর্গ
দিলে না...
২> * ক্রনিক অসুখ *
অথচ, আমি সুখ খুলে বসে থাকি
তৃপ্ত হওয়ার আশায় ,
স্বচ্ছ মেঘ কে
পাটে
পাটে
ভাঁজ করে তুলে রাখি বুকের দেরাজে
শীতল হবো ব'লে
পদাবলী সাজানো ছিল তখনও তামার তাটে
সঙ্গতে ছিলাম আমি
অথচ ...
প্রাক্তন হোতে হোতে
আনন্দ এখন দ্বীপের পরিন্দা ,যার
ডানায় অনির্ভরতার প্রহসন,
চোখে origamiহীন ভাস্কর্য ,
অনুভবে মাল্টিঅরগ্যান ফেলিওর-এর
মতো হাজার প্রশ্ন ; তবু
২৪ ঘণ্টা × ৩৬৫ দিন
কাঁটা থেকে উল ছাড়বো আর
পরের জন্মে রাধা হওয়ার
শখ রাখবো, ভুলে যাই
সদ্য স্নাত তূণে বিদ্ধ হয়েছি আমি...
৩> * পক্ষপাতিত্ব চলে টেলিপ্যাথি হাওয়ায় *
কবিতার অন্ত্রে হাবিজাবি ভাবনার
নিরঙ্কুশ চাহিদা
এরপর ,নিউরনগুলো জট পাকালে
কাঠঠোকরার ঠোঁটে
লেপ্টে থাকে বীরপুরুষের হাসি
পক্ষপাতিত্ব চলে টেলিপ্যাথি হাওয়ায় ,বাকিটা
ভেল্কিবাজি ...
কবিতার লাইন অপেক্ষা করছে
সেলামের নিয়তি ঘিরে
গাঢ় রজনীগন্ধা হাসি,
গিলে করা ক্ষমতা,
চেরি ব্লসম্ অহং ...
ভীষণ এক্সপেনসিভ ,তাই
অন্ধ কানাইয়ের পথ ধরেছি
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন